জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পুরস্কার প্রবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, তিনি শান্তির বাণী শুনিয়েছেন, কিন্তু নিজেকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা কোনো অশান্তি চাই না।
রোববার (২৮ মে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন খাতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করবেন, তাদেরকেও পুরস্কার দেয়া হবে৷ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শান্তি পুরস্কার প্রবর্তন করার ব্যবস্থা নেবে বর্তমান সরকার৷’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শান্তিতে বিশ্বাস করি। শুধু দেশে না, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে দেশের সৈনিকরা। তারা জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে শান্তি বিরাজ করায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার সময় দারিদ্রের হার ছিল ৪১ শতাংশ, আজকে তা ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। হত দরিদ্র এখন মাত্র ৫.৬ শতাংশ। আমরা দারিদ্রের হার কমাতে পেরেছি, স্বাক্ষরতার হার বাড়াতে পেরেছি, মাতৃ মৃত্যুর হার কমাতে পেরেছি।’
এ দেশে কোনো মানুষ ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষ থাকবে না। সবাই তার মৌলিক অধিকার পাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ স্বপ্ন পূরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান বলেই আজকে উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। আজকে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা একমাত্র ২০০৮ এর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ফল।’
এ উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না, নিজের আয়ে চলবে। দীর্ঘ সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল বলেই এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’
স্থিতিশীল পরিবেশ দেশকে অনেক উপরে নিয়ে যায়- যার প্রমাণ বর্তমান বাংলাদেশ, বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।