প্রতি ২ ঘণ্টায় মারা যাচ্ছেন একজন প্রসূতি


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 28-05-2023

প্রতি ২ ঘণ্টায় মারা যাচ্ছেন একজন প্রসূতি

রোববার নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘গর্ভকালে চারবার সেবা গ্রহণ করি; নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করি।’

১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন শুরু হয়। এরপর থেকে নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার কমানো ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর ২৮ মে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে এ বিষয়ে অনুমোদন দিলে পরের বছর থেকে দেশব্যাপী দিবসটি পালন শুরু হয়। পরে ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ উদ্যোগ টেকসই উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত করে। এ সব কার্যক্রমে ২০০০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মাতৃমৃত্যুর হার ৩৮ শতাংশ কমে আসে।

জানা গেছে, দেশে প্রতি বছর গর্ভধারণ করেন প্রায় ২৮ লাখ নারী। প্রতি লাখে মারা যান ১৬৮ জন। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৬৩ জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা কমেনি, বরং বেড়েছে।

২৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা সীমা বেগম। বয়স ৩৭ পেরিয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের কারণে শনিবার ( ২৭ মে) গোপালগঞ্জ থেকে এসে ভর্তি হয়েছেন ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে। এর আগে সিজারে তিনটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। এখন ভর্তি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে।

এমন করে অনেক সীমা বেঁচে গেলেও মারা যাওয়ার হারও কম না। দেশে প্রতি দুই ঘণ্টায় মারা যাচ্ছেন একজন প্রসূতি। শহরের তুলনায় গ্রামে মৃত্যুর হার বেশি। এর মধ্যে বাড়িতেই মারা যান ৪৩ ভাগ অন্তঃসত্ত্বা।

ঢাকা মেডিকেলে প্রতিদিন সীমার মতো এমন অনেক রোগী ভর্তি হন। যাদের ৮০ ভাগই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, প্রসূতিদের অর্ধেকই প্রয়োজনীয় চেকআপে থাকেন না। জটিলতা দেখা দিলে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় জেলা সদর বা ঢাকায়। ফলে প্রসবজনিত জটিলতা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকেরই মৃত্যু হয়।

সরকারের জরিপ বলছে, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সে সন্তান নেয়া মায়ের মৃত্যুহার সবচেয়ে কম। ৪০ বছরের পর সন্তান নিলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে ১০ গুণেরও বেশি।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]