এরদোয়ানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 28-05-2023

এরদোয়ানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

এরদোয়ানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ। প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট দেবেন তুরস্কের নাগরিকরা। আর এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) শুরু হচ্ছে এ ভোট।

গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে একে পার্টির প্রধান রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কিংবা তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিএইচপির নেতা কামাল কিলিচদারোলুর কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ভোট গড়িয়েছে দ্বিতীয় দফায়। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ক্ষমতায় থাকা মূলত জাতীয়তাবাদী, রক্ষণশীলদের প্রিয় পাত্র এরদোয়ান আরও ৫ বছরের জন্য ক্ষমতা পাবেন নাকি তাকে হটিয়ে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কপন্থি কিলিচদারোলু প্রেসিডেন্ট হবেন, তা নির্ধারণ হয়ে যাবে।

গত ১৪ মে তুরস্কের নির্বাচন কাউন্সিলের হিসেবে, নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৮.৯২ শতাংশ। জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) নেতা এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯.৫০ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪.৮৯ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ বিরোধী প্রার্থী থেকে ৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন এরদোয়ান। যেহেতু তাদের কেউই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পাননি ফলে এ নির্বাচন রান-অফে গড়ায়।

তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শনিবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রান-অফ নির্বাচন নিয়ে দেশটিতে তেমন উত্তাপ লক্ষ্য করে যাচ্ছে না। যেমনটি দেখা গিয়েছিল দুই সপ্তাহ। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট শাসন প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো (রান-অফ) ভোট দিতে যাচ্ছেন দেশটির ভোটাররা।

ইস্তাম্বুলের তোফানের ৪৯ বছর বয়সী বাসিন্দা সোনার ওগোরলু বলেছেন, ‘এটি অন্যরকম অনুভূতি। আমার মনে হচ্ছে নির্বাচন শেষ। কিন্তু রোববার আরেকটি নির্বাচন আছে। আমি অবশ্যই ভোট দেব। কিন্তু বিষয়টি উদ্ভুত লাগছে, কারণ দুই সপ্তাহ আগে পরিবেশ যে রকম ছিল। সে তুলনায় সবকিছু বেশ শান্ত।’


দেশটির বেশিরভাগ ভোটার মনে করছেন ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানই আবারও প্রেসিডেন্ট হবেন।


অথচ ১৪ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন এরদায়ান হয়ত এবার হেরে যাবেন। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে কেমালের চেয়ে বেশি ভোট পান তিনি।

নির্বাচনের প্রথম ধাপে এরদোয়ানকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে না পারার বিষয়টি বিরোধীদলীয় সমর্থকদের জন্য বেশ বড় একটি ধাক্কা হিসেবে এসেছে। তাদের অনেকেই এখন বেশ হতাশ। তাদেরই একজন সিহাঙ্গিরের কাপরের দোকানের ব্যবসায়ী ওলকে।

তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘১৪ মের আগে আমি অনেক আশাবাদী ছিলাম। কারণ ভেবেছিলাম অবশেষে এরদোয়ানের কাছ থেকে মুক্তি পাব। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সে অপ্রতিরোধ্য।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এসব (অর্থনৈতিক) সমস্যায় সবাই বেশ ক্লান্ত। আবার উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেয়ার বিষয়টি খুবই কঠিন হবে। কারণ মনে হচ্ছে বিষয়টি শেষ। কিন্তু আমি অবশ্যই ভোট দেব। এটি আমার দায়িত্ব।’



Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]