লাকসামের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম, এমপিকে সংবর্ধনা দিয়েছে যুক্তরাষ্টস্থ বৃহত্তর লাকসাম ফাউন্ডেশন। গত বুধবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের উডসাইডের গুলশান ট্যারেসে সার্বজনীন এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। বৃহত্তর লাকসাম ফাউন্ডেশনের সদস্য ছাড়াও প্রবাসের গণ্যমান্য ব্যক্তি, স্থানীয় রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ ও মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান মজুমদার। এবিএম হুমায়ুন কবিরের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বৃহত্তর লাকসাম ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইন্ক এর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যগণ এবং এসময় লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে মাননীয় মন্ত্রীকে স্মারণলিপি প্রদান করা হয়। লাকসামের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামকে ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেছেন। প্রধান অতিথির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান মজুমদার,আবুল কালাম ভূইয়া, আব্দুল জলিল তিতুমির,সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মজুমদার প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোঃ তাজুল ইসলামের সাথে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান আবুবকর হানিপ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিন, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, ও মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো: জাহিদ হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া। বৃহত্তর লাকসাম ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল তিতুমির। মোঃ লোকমান হোসেন রাজুসহ আরো কয়েকজন সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান মজুমদার। তিনি মাননীয় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম, এমপি’কে এই স্বল্প সময়ে নিজেদের মাঝে পাওয়ায় সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সেই সাথে এ আয়োজনকে সফর করার জন্য সংগঠনের কার্যকরী পরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদসহ সকলকে একত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ জানান।
তিনি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে লাকসামকে জেলা করার জোরালো দাবি জানান। এছাড়া লাকসামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার বাস্তব দাবিও তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম আয়োজক কমিটিসহ প্রবাসী লাকসামবাসীর প্রশংসা করে বলেন, আমি অভিভুত ও কৃতজ্ঞ এই সল্প সময়ে এত অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য। লাকসামবাসীর এ ধরণের মিলন মেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি জানি আপনারা এলাকার উন্নয়নে প্রবাস থেকে সবসময় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন, এতে এলাকাসহ দেশ ও জাতি উপকৃত হচ্ছে। লাকসামবাসীর উন্নয়নে আপনারা যেভাবে চিন্তা করেন তা আমাকে আগামীতে লাকসামের উন্নয়নে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, লাকসামে অবকাঠামোগত বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে এই মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
লাকসামকে জেলা করার দাবির পক্ষে একাত্ততা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে লাকসামকে জেলা ঘোষনার দাবি করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সময়ের মহকুমাগুলোকেই শুধুমাত্র জেলা করবেন বলে জানান। তবে ভবিষ্যতে সুযোগ হলে লাকসামকে জেলা ঘোষনার প্রস্তাব আবারো তুলবেন বলে আশ^স্ত করেন।
মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন পেনসেলভেনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন রাজু, লাকসাম ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল তিতুমির, উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামান, এবিএম হুমায়ন কবির, খোরশেদ আলম, প্রফেসর সাফায়েত উল্লাহ মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম, ওমর ফারুক রিপন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ মজুমদার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক কুলসুম আক্তার সুমী, ডেলসি জান্নাত, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আলী আক্কাস প্রমুখ।
রাজশাহীর সময় /এএইচ