উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখন বাড়িতে বাড়িতে। যেভাবে বাড়ছে সুগার সেভাবেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রক্তচাপের সমস্যাও। রক্তচাপ যদি ৯০/ ১৪০ হয়ে যায় তাহলেই তা উচ্চ রক্তচাপ বলে ধরে নেওয়া হয়। রক্তচাপ বাড়লে একাধিক সমস্যা হয়। আর এই গরমে সমস্যা অনেক বেশি বাড়ে। রক্তচাপের সমস্যা শুধুমাত্র যে বয়স্কদের হয় তা নয়, যে কোনও বয়সেই হতে পারে।
ধমনীর দেওয়াল কোনও কারণে পুরু হয়ে গেলে রক্ত ঠিকমতো সঞ্চালিত হতে পারে না। আর তখনই বাড়ে রক্তচাপ। রক্তচাপের নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ থাকে না। হঠাত্ করেই একদিন চাগাড় দিয়ে ওঠে। আর উচ্চ রক্তচাপ ধীরে ধীরে আমাদের মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনির ক্ষতি করে। যা পরবর্তীতে ব্রেন হেমারেজ, ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মত প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রতি বছর ১৭ মে পালন করা হয় বিশ্ব রক্তচাপ দিবস। মানুষকে সচেতন করতেই বিশেষ এই উদ্যোগের ভাবনা।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার অনেক উপায় আছে। যার মধ্যে প্রধান হল ওষুধ, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা। অনেক সময় অ্যাংজাইটি, অতিরিক্ত রাগ, মানসিক চাপ থেকেও হতে পারে এই সমস্যা। আর তাই প্রথমেই যা দরকার তা হল লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে। সেই সঙ্গে রোজকার ডায়েটে এই সব খাবারও রাখতেই হবে।
মুগ ডালের স্যুপ- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মুগ ডালের কোনও তুলনা নেই। জিরে, আদা, সামান্য ধনেপাতা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন মুড ডাল। এক বাটি করে রোজ খান।
মধু- রোজ সকালে এককাপ ইষদুষ্ণ জলে মধু আর অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর শরীরও থাকবে ভাল। কারণ এতে ডিটক্সিফিকেশন খুব ভাল হয়। রোজ সকালে খালিপেটে এই জল খেলে শরীর থাকবে সুস্থ।
ডাবের জল- রোজ এক গ্লাস করে ডাবের ডল খান। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রয়োজনীয় খনিজ। এর ফলে শরীর সুস্থ থাকে। রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
রায়তা- শসার মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। টকদই আর শসা দিয়ে রায়তা বানিয়ে নিন। রোজ একবাটি করে রায়তা খান। ব্রেকফাস্টে রুটির সঙ্গে বা লাঞ্চে খান।
তরমুজ- তরমুজও আমাদের শরীরের জন্য খুব ভাল। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। তাই রোজ একবাটি করে তরমুজ খান। শরীর থাকবে সুস্থ।