কয়লা সংকটে গত ২৩ এপ্রিল থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকা বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। পর্যায়ক্রমে তা বাড়বে। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম আজ রাতে কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আনোয়ারুল আজিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে পুনরায় চালু করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এর আগে কয়লা সংকটের কারণে গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ ছিল।’
গ্যাস সংকটে চট্টগ্রামের সব গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশের বেশ কয়েকটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে পারছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। যার ফলে এখন দিনে তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ৪-৫ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার রামপাল উৎপাদন শুরু হওয়ায় লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে।
বিআইএফপিসিএল সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাগেরহাটের রামপালে। উৎপাদন শুরু হওয়া একটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটও বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় কয়লা সংকটে গত ১৪ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রটি চালু হয়েছিল। দুই মাস পর গত ১৫ এপ্রিল আবারও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয় এই মেগা প্রকল্পের উৎপাদন। তিন দিন বন্ধ থাকার পর ১৮ এপ্রিল সচল হলেও কয়লা সংকটে ২৩ এপ্রিল রাত থেকে ফের উৎপাদন বন্ধ ছিল।