নাটোরের সিংড়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ মে) বিকালে উপজেলার ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়নের বিয়াশ চক আদিত্য ও বড় আদিমপুর গ্রামের পুর্ব মাঠে ঘোড়দৌড় খেলা দেখতে আসেন হাজার হাজার পুরুষ ও মহিলা দর্শক। উৎসুক জনতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এ খেলার প্রধান আয়োজক ছিলেন বড় আদিমপুর গ্রামের নওশের আলী।
উপজেলার সর্ববৃহৎ বিয়াশ মেলা উপলক্ষ্যে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা বিকাল ৫ টায় শুরু হলেও বিকাল ৩ টার পর থেকেই লোকজন আসতে শুরু করেন। মাঠের পশ্চিম পাশে মহিলাদের জন্য নির্ধারিত জায়গা করায় মহিলা গ্যালারীতে ছোট বড় সব ধরনের মেয়েদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত। প্রখর গরম উপেক্ষা করে উৎসুক জনতা খেলাটি উপভোগ করেছে। খেলার শুরুতে ছোট খাটো হট্রগোল বাঁধলেও পরবর্তী সময়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর তারেক হোসেন দুলালের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষনিক তা নিয়ন্ত্রনে আসে এবং শান্তিপুর্ণভাবে খেলা সম্পন্ন হয়।
বগুড়া,নাটোর ও সিরাজগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৯ টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
খেলা দেখতে আসা ৭০ বছর বয়সী কয়েক প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন আমাদের এলাকায় এই প্রথম এ ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পর ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখে তারা খুশি। নতুন প্রজম্নের কয়েকজন ছেলে মেয়ে জানান, ইউনিউব চ্যানেলে ঘোড়দৌড় খেলা দেখেছি বাড়ির কাছে নিজের চোখে খেলা দেখতে পেরে খুব মজা পাচ্ছি।
বিকাল ৫ টায় টান টান উত্তেজনায় খেলা শুরু হয়। খেলা শেষে বিজয়ী হন একশিং তাড়াইয়ের ঘোড়ার মালিক আব্দুল মমিন। এ সময় তাঁর হাতে প্রথম পুরুস্কার এলইডি তুলে দেওয়া হয়। পুরুস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থতিত ছিলেন ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ তারেক হোসেন দুলাল, ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জুলহাজ কায়েম, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ মাহমুদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।
ঘোড়দৌড় খেলার প্রধান উদ্যোক্তা ও আয়োজক মোঃ নওশের আলী জানান, আমি ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয় করে এই খেলার আয়োজন করেছি। আমাকে অনেকে সহযোগিতা করেছে। আগামীতে বড় পরিসরে খেলার আয়োজন করার আশা আছে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সহ সকলের সহযোগিতা নিয়ে প্রতি বছর বিয়াশ মেলার পরের দিন এই ঐতিহ্যবাহী খেলা অব্যাহত থাকবে। সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।