চলমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। এদিকে কিয়েভ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির নাগরিকরা যেন দ্রুত রাশিয়া ত্যাগ করেন।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর আরও জানানো হয়, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক ছাড়া সবখানেই জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। উল্লেখ্য, এই দুটি অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেনের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওলেকসি দানিলভ বলেন, জরুরি অবস্থা প্রাথমিকভাবে ৩০ দিন জারি থাকবে।
এদিকে ইউক্রেন সংকট নিরসনে কূটনৈতিক আলোচনায় কোনো উৎসাহ নেই বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাক্সার টেকনোলজির প্রকাশিত কয়েকটি স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, ইউক্রেন সীমান্তে বেলারুশের দক্ষিণে বিপুল সেনা মোতায়েন ও যুদ্ধ সরঞ্জাম দেখা গেছে।
ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম ধাপে নিষেধাজ্ঞা দেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কাতারে শামিল হয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়াও।
এর আগে রাশিয়ার দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথাও ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার ভিইবি ব্যাংক ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ব্যাংক প্রোমসভায়াজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এ ছাড়া যেসব ধনকুবেরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন না। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ওই ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ করা হবে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ