প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মানেই বলিউড থেকে হলিউডের অন্যতম আলোচিত নাম। সোমবারই মেট গালায় কালো পোশাকে এশিয়ার অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন পিগি চপস। কেরিয়ারের মধ্য গগনে থেকেও আজও তিনি মিস করেন তাঁর বাবা অশোক চোপড়াকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবার সঙ্গে কাটানো কিছু মজার স্মৃতি ভাগ করে নিলেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে।
২০১৩ সালে প্রয়াত হন প্রিয়াঙ্কার বাবা অশোক চোপড়া। অভিভাবক হিসেবে তিনি যথেষ্ট কড়া ছিলেন এমনই দাবি অভিনেত্রীর। ১২ বছর বয়সে আমেরিকায় পড়াশোনা করতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রিয়াঙ্কাকে। সেই সময়ে একেবারেই শান্তশিষ্ট বিনুনি বাঁধা ছাত্রী ছিলেন তিনি। তবে আমেরিকার পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি তাঁর।
আমেরিকায় গিয়েই নিজের চুল কেটে ফেলেন প্রিয়াঙ্কা। এরপর ১৬ বছর বয়সে যখন তিনি ফিরে আসেন তখন তিনি স্বভাবে পুরোপুরি একজন মার্কিন ছাত্রীতে পরিণত হয়েছেন। ফলে, অল্পবয়সি ছেলেরা তাঁকে প্রায়ই বাড়ি পর্যন্ত অনুসরণ করত বলে জানান প্রিয়াঙ্কা।
এই সময়েই একদিন একটি মজার ঘটনা ঘটে। এক কিশোর লাফিয়ে ঢুকে পড়েছিল প্রিয়াঙ্কার ঘরের বারান্দায়। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রীর বাবা। ঘরের বারান্দায় গরাদ লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। এরপরই জিন্স সহ অন্যান্য বিদেশি পোশাক পরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় প্রিয়াঙ্কার ওপর। এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রীর যাতায়াতের জন্য একজন সবসময়ের গাড়ির চালককেও নিয়োগ করা হয়। সবমিলিয়ে কিশোরী প্রিয়াঙ্কার নিরাপত্তায় ত্রুটি রাখেননি প্রয়াত অশোক চোপড়া।
প্রিয়াঙ্কার কথায় এই পরিস্থিতি বেশিদিন চলেনি। কারণ এরপরেই প্রিয়াঙ্কার কেরিয়ারের উড়ান শুরু হয়। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে প্রিয়াঙ্কার আমেরিকান টিভি সিরিজ সিটাডেল মুক্তি পেয়েছে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে। পাশাপাশি, স্বামী নিক জোনাস এবং মেয়ে মালতিকে নিয়েও সুখী পরিবারের ছবি প্রিয়াঙ্কার।