শৌচাগারে ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারন ছাত্রের


সুমাইয়া তাবাস্সুম: , আপডেট করা হয়েছে : 30-04-2023

শৌচাগারে ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারন ছাত্রের

শৌচালয়ের ভিতরে ছাত্রীদের গোপনে ভিডিও তোলার অভিযোগ উঠল৷ তা-ও আবার এমন ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে শহরের অন্যতম ঐতিহ্য়শালী কলেজ প্রেসিডেন্সিতে৷ অভিযোগ, লুকিয়ে শৌচালয়ের ভিতরে থাকা ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও নিজের মোবাইলে রেকর্ড করেছে ওই কলেজেরই স্নাতক স্তরের এক ছাত্র৷ তবে, তখনই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে৷ ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর অভিযোগ, ক্যাম্পাসের যে শৌচাগার তাঁরা ব্যবহার করেন, তাতে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত পার্টিশন করা নেই। যে পার্টিশন রয়েছে, তার উপর থেকে অতি সহজেই শৌচাগারের অন্য অংশে উঁকিঝুঁকি মারা যায় বলে দাবি পড়ুয়াদের। এই বিষয়ের ফায়দা নিয়েই স্নাতক স্তরের ওই পড়ুয়া পার্টিশনের উপর থেকে ছাত্রীদের অংশের ভিডিও করছিল বলে খবর।

কিন্তু, সেই অবস্থায় এক ছাত্রী তাঁকে ধরে ফেলে। সেই মুহূর্তে অভিযুক্ত ছাত্র ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেয়৷ উপস্থিত ছাত্রীটিও কার্যত লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় বা পুলিশের কাছে দায়ের করেনি বলে জানা গিয়েছে। তবে গোটা ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁরা।

স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের তরফে লিখিত ভাবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। ইমেল করা হয়েছে ডিন অফ স্টুডেন্টস এবং অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে।

ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের দাবি, এই ঘটনা এই প্রথমবার ঘটল এমনটা নয়। ছাত্র এবং ছাত্রীদের শৌচাগারের মধ্যবর্তী এই পার্টিশনের কারণে এর আগেও অনেক ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি তোলা হয়েছে বলে দাবি পড়ুয়াদের একাংশের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে রেজিস্ট্রার ডঃ দেবজ্যোতি কোনার বলেন, ‘‘সমস্ত অভিযোগ সহ গোটা বিষয়টি একটি হাই পাওয়ার এনকোয়ারি কমিটির কাছে ইতিমধ্যেই তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি নেবে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পড়ুয়া জানান, অভিযুক্ত এর আগেও এই ধরনের ভিডিও করা এবং তা শেয়ার করার মত ঘৃণ্য কাজ করেছে। তদন্ত সম্পূর্ণ হলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা স্পষ্ট হবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]