এনসিটিবি তাদের ওয়েবসাইটে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণয়ন করা ২০২৩ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সবগুলো বইয়ের ভুলভ্রান্তির সংশোধনী প্রকাশ করেছে।
ওয়েবসাইটে দেয়া সংশোধনীতে দেখা যায়, প্রতিটি বিষয়ের জন্য এনসিটিবি আলাদাভাবে সংশোধনী দিয়েছে। সংশোধনীতে কোন পৃষ্ঠায় কী ভুল ছিল, সেখানে সংশোধনীগুলো কী কী হবে তাও উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ সম্পর্কে করণীয় নিয়েও মন্তব্য দেয়া হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রমে একজন শিক্ষার্থীকে ১০টি বই পড়তে হয়। বিভিন্ন ধর্মের বই মিলিয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে মোট ১৩টি বই রয়েছে। এনসিটিবি উভয় শ্রেণির ১৩টি করে মোট ২৬টি বইয়ে এসব সংশোধনী দিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী বছর থেকে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে পাঠ্যবইও। যদিও বিতর্কের মুখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি।
এ অবস্থায়, নতুন করে দেয়া সংশোধনীতে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের বিষয়ে আলাদা নোট দিয়ে বলা হয়েছে, অনুশীলন বইয়ে যে যে স্থানে অনুসন্ধানী পাঠ অথবা রিসোর্স বই দেখতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা সে সে স্থানে শিক্ষকের সহায়তায় উপযুক্ত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে।