ইউক্রেনের পাল্টা হামলার প্রস্তুতির মধ্যে দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ১২ জন নিহত ও আরও ১৭ জন আহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিন ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ইউক্রেনজুড়ে হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজতে শুরু করে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি শহরে শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ।
দিনিপ্রো শহরের মেয়র বরিস ফিলাটভ বলেছেন, শুক্রবার ভোরে হামলায় একজন নারী এবং তিন বছরের একটি শিশু নিহত হয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।
এছাড়া দেশটির চেরকাসি ওব্লাস্ট, ক্রেমেনচুক ও পোলতাভাতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো বলছে, দক্ষিণে মাইকোলাইভের পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভ এবং আশপাশের অঞ্চলগুলোতেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা চেরকাসি ওব্লাস্ট শহরের একটি ভিডিওতে ভবনে আগুনের শিখা এবং ধোঁয়া দেখা গেছে। এছাড়া ভবনটির একটি কোণ ধসে পড়েছে।
চেরকাসির গভর্নর ইহর তাবুরেতস বলেন, জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুণে ঘটনাস্থলে রয়েছে। পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণের অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য সম্প্রতি বড় পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ঠিক সেই সময়েই এই জোরালো অভিযান চালানো হলো।
এদিকে বুধবার (২৬ এপ্রিল) চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই তাদের প্রথম ফোনালাপ।
জেলেনস্কি বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে অর্থপূর্ণ আলাপ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই ফোনালাপ ও চীনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ উভয় পক্ষের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে শক্ত ভূমিকা রাখবে।’
জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করে বলেন, তিনি চীনের প্রভাব কাজে লাগিয়ে সংকট মেটানোর চেষ্টা করবেন। বুধবার রাতে দৈনিক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেন, চীনের রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে আবার সব নীতির শক্তি পুনর্বহাল করার সুযোগ এসেছে, যেগুলোর ভিত্তিতে শান্তি আসা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্বের সংখ্যালঘু অংশের মতো ইউক্রেন ও চীনও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার শক্তিতে আগ্রহী।