বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীকে বাঁচাতে নিজেরাই পাখির ছদ্মবেশ নেন কর্মীরা


নৌসিম তাবাস্সুম ঝিলিক: , আপডেট করা হয়েছে : 28-04-2023

বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীকে বাঁচাতে নিজেরাই পাখির ছদ্মবেশ নেন কর্মীরা

দিনে চার বার পাখি সাজেন থাইল্যান্ডের পরিবেশবিদ ওয়াটচিরাডল ফ্যাংপান্যা। কালো পোশাক, লম্বা হাতা জামা, লাল গ্লাভস এবং লাল ব্যালাক্লাভা পরে শকুনের রূপ ধরেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই। চিড়িয়াখানায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির শকুনের প্রতিপালনে সাহায্য করা। এশিয়ান কিং ভালচার প্রতিপালনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে থাইল্যান্ডের নাখোন রাটচাসিমা চিড়িয়াখানা। উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডের এই পশুশালায় পালিত শকুনের দল একদিন আকাশে উড়ে বেড়াবে ডানা মেলে-এই আশা পরিবেশবিদদের। তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বন্য পরিবেশে।

কিন্তু কেন পাখি সাজতে হয় পরিবেশবিদদের? তাঁরা জানিয়েছেন, পাখি শাবকদের কাছে তাঁরা ওই সাজে যান। যাতে তাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি সহজে গড়ে ওঠে। প্রসঙ্গত ডিম ফুটে শাবক বার করা থেকে শুরু করে প্রতিপালনের প্রতি ধাপ করা হয় মা-পাখিদের থেকে দূরে রেখেই। তাই নিজেরাই পাখির সাজে সেজে ওঠেন পরিবেশবিদরা। পক্ষীশাবকদের মঙ্গলকামনাতেই অদ্ভুত ছদ্মবেশ তাঁরা ধারন করেন।

জন্ম থেকেই বন্য খাদ্যাভাসেশকুন শাবকদের অভ্যস্ত করে তোলা হচ্ছে। খাওয়ানো হচ্ছে খরগোশ, হরিণ এবং মুরগির মাংস। তার পর তাদের রোদের উত্তাপে রাখা হয়। যাতে তাদের দেহে ভিটামিন ডি শোষিত হয়। এর ফলে শারীরিক ও আচরণগত বিকাশ সাম‍‍ঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

প্রসঙ্গত ঝাড়ুদার পাখি হিসেবে লালমাথা শকুনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত মৃত প্রাণীকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করা শকুনের উপর নির্ভর করে বাস্তুতন্ত্র। কিন্তু পরিবেশগত নানা কারণে সারা পৃথিবীতেই আজ তারা বিলুপ্তপ্রায়। তাই চেষ্টা চলছে আবার তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। থাইল্যান্ডের নাখোন রাটচাসিমা চিড়িয়াখানায় গত দু’ দশক ধরে লালমাথা শকুন প্রতিপালন করা হচ্ছে। চেষ্টা চলছে তাদের সংখ্যাবৃদ্ধির। অবশেষে প্রচেষ্টার ফল মিলছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]