সারাদিন ধরে ঘরের কাজ, অফিসের কাজ ঠিক সময় মতো করতে গিয়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়াই হচ্ছে না। রাত জেগে আবার ওয়েব সিরিজ় দেখার অভ্যাস! ফলে রাতে ঠিকঠাক ঘুমও হচ্ছে না। ফলে পরের দিন সকাল থেকেই এক রাশ ক্লান্তি। কাজে ভুল হওয়া। কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি সকলেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন সবাই।
প্রিয়জন হোক বা বন্ধু, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসা প্রকাশের মাধ্যম হল আলিঙ্গন। হালের সমীক্ষা বলছে, এই আলিঙ্গন শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়, আলিঙ্গন করলে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় নানা ভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, মানসিক চাপ কমাতেও নাকি আলিঙ্গনের জুড়ি মেলা ভার!
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলিঙ্গন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। সমীক্ষা বলছে ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে খুব কাছের কোনও বন্ধু বা প্রিয়জন কেউ জড়িয়ে ধরলে মানসিক প্রশান্তি আসে।
প্রিয়জন হোক বা বন্ধু, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসা প্রকাশের মাধ্যম হল আলিঙ্গন।
১) বিভিন্ন গবেষণা বলছে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আলিঙ্গনের তুলনা নেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলিঙ্গন করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্স্পন্দনের হারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) আলিঙ্গন দ্রুত মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অফিসের চাপ, সংসারের চাপে সকলেই এখন কমবেশি জর্জরিত। তাই সময় সুযোগ পেলেই প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করে নিলেই মন ভাল হয়ে যেতে পরে।
৩) বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এই অভ্যাস।
৪) অনেক সময়ে অজানা কারণেই উদ্বেগ বাড়ে। ভয় কমাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস। মনমেজাজ ভাল রাখতে দারুণ উপকারী।
৫) শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে আলিঙ্গন।