ভিটামিন ই শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন নেয়, বন্ধ্যত্বের সমস্যা রোধ করে, বার্ধক্যজনিত সমস্যাও রুখে দিতে পারে এই ভিটামিন ই। ত্বকের বা চুলের যত্নে অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে, কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে তা ব্যবহার করে থাকেন। খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই শরীরে না পৌঁছলে অনেকে বাইরে থেকেও ক্যাপসুল খেয়ে থাকেন। এ ছাড়াও ভিটামিন ই আরও অনেক উপকারে লাগে।
১) মুখের মাস্ক: ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, শুষ্ক ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ব্যবহার করেন অনেকেই। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি কোনও প্যাকে এই ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ১ টেবিল চামচ দইয়ের মধ্যে ১ চা চামচ মধু এবং ভিটামিন ই মিশিয়ে মাখতে পারেন। এ ছাড়াও যাঁদের ব্রণর সমস্যা বেশি, তাঁরা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তরল মুখে মাখলে সেই সমস্যা কমতে পারে।
২) ঠোঁটের যত্নে: ঠোঁটের কালচে দাগ, ঠোঁট ফাটা বা ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে, সেখান থেকে মুক্তি দিতে পারে ভিটামিন ই। রাতে শোয়ার আগে এই ক্যাপসুল ভেঙে সরাসরি ভিটামিন ই অয়েল ঠোঁটে মেখে নিলে উপকার মিলবে।
৩) চোখের তলায় কালচে ছোপ: রাত জেগে চোখের তলায় কালি পড়েছে? চিন্তা নেই, চোখের তলার ফোলা ভাব, কালচে ছোপ দূর হয়ে যাবে কিছু দিনের মধ্যেই। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ক্যাপসুল থেকে অয়েল বার করে চোখের চারপাশে মেখে রাখুন।
৪) কিউটিকল অয়েল: নখের পাশ থেকে ছাল উঠছে? ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পাশাপাশি, ভিটামিন ই অয়েল নখের চারপাশে মেখে রাখুন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন অচিরেই।
৫) চুলের যত্নে: চুলের যত্নে অনেকেই তেলের মধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করেন। নতুন চুল গজাতে, মাথার ত্বকে সংক্রমণ কমাতে, খুশকির সমস্যা দূর করতেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার চল রয়েছে।