খুলনার ইউপি সদস্য মনজেল শিকদার হত্যা মামলায় দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার অপর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ ও বীরেন্দ্র নাথ সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: খানজাহান আলী থানার গিলেতলা ফকিরপাড়ার হামিদ সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম তালুক ও একই এলাকার মান্নান মোল্লার ছেলে সাব্বির আল খালিদ মিলু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৩ মে বিকেলে খুলনার আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মনজেল শিকদার মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওই দিন রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা হাড়ের শিকদার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে শহিদুল ইসলাম তালুক ও সাব্বির আল খালিদ মিলু হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
পরে জানা যায়, নিহত মনজেল আলিম জুট মিলের সিবিএ নির্বাচনে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর তাকে প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন।
সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর ৯ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারকালে মোট ১৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
রাজশাহীর সময় /এএইচ