বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা ধরনের খাবার খাওয়ার চল রয়েছে। সেগুলি হয়তো অন্য প্রান্তের মানুষদের কাছে অস্বাভাবিকও মনে হতে পারে। আর সেই সব খাবার নিয়ে প্রচলিত রয়েছে মজার মজার গল্পও। আজ আমরা কথা বলব, বিশ্বের দামী কিছু খাবারের বিষয়ে। সেই সব খাবার কিন্তু সোনা কিংবা হিরের গয়নার থেকেও দামি! কী! চোখ কপালে উঠল তো! তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে ঢুকে পড়া যাক আসল প্রসঙ্গে!
বিশ্বের সবথেকে মহার্ঘ্য খাবারের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইতালির একটি খাবার। সেটি হল অ্যালবা ট্রাফল। যা বিশ্বের সবথেকে দামি খাবার। এর মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, এটি খাওয়ার শুধুমাত্র কোটিপতিদেরই আছে। এমনকী এটা কেনার আগে হাজার বার চিন্তাও করতে হবে! হংকংয়ের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর জন্য অ্যালবা ট্রাফল কিনেছিলেন।
মাশরুমের অনেক প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল মাসুতাকে মাশরুম। তবে এটি কিনতে গেলে পকেটে বেশ চাপ পড়বে। কারণ ৪৪ হাজার টাকা কেজি দরে এটি পাওয়া যায়। আসলে এই প্রজাতির মাশরুম ফলানো খুবই কষ্টসাধ্য। যার ফলে এর দাম চড়া।
এর পরেই রয়েছে ক্যাভিয়ার নামের একটি খাবার। এটি আসলে এক নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছের ডিম। আর খাবারের নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মূলত স্প্রেড বা গার্নিশিংয়ের জন্যই ক্যাভিয়ার ব্যবহৃত হয়। শুধুমাত্র লন্ডনের ক্যাভিয়ার হাউস এবং প্রুনিয়ার স্টোর থেকে কেনা যাবে এই ব্যয়বহুল খাবার। এবার আসা যাক দামের প্রসঙ্গে। প্রতি কেজি সাদা ক্যাভিয়ারের দাম পঁচিশ লক্ষ টাকা।
কোপি লুওয়াক বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি। এটি শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়াতেই পাওয়া যায়। সারা বিশ্বের বহু মানুষ এখানে আসেন শুধু এই কফি চেখে দেখতে। এক কেজি কোপি লুওয়াক বিক্রি হয় ৫৮ হাজার টাকায়।
গরমে তরমুজের মতো উপাদেয় আর কী-ই বা হতে পারে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বাজারে কালো তরমুজ পাওয়া যায়। তবে শুধুমাত্র জাপানেই তা উৎপন্ন হয়। এই তরমুজের দাম চার লক্ষ টাকা। কারণ বছরে মাত্র এক ডজন কালো তরমুজ চাষ হয়। যার ফলে এর দাম আকাশছোঁয়া।
সুইডেনে পাওয়া যায় মুস চিজ। এটিও বেশ ব্যয়বহুল খাবার। মুস নামের এক বিশেষ প্রজাতির হরিণের দুধ থেকে তৈরি এই চিজ মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই উৎপাদন করা হয়। প্রতি কেজি এই চিজের দাম প্রায় ৭৮ হাজার টাকা।