গরমের দুপুরে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তেষ্টা মেটাতে পানি না খেয়ে অনেকেই লবণ ছড়িয়ে শসা খেতে পছন্দ করেন। পানির অভাব যেমন মেটে, আবার ক্লান্তি ভাবও কেটে যায়। গরমের ফল হলেও এখন সারা বছরই বাজারে শসা পাওয়া যায়। মূলত ওজন ঝরানোর লক্ষ্য নিয়ে যাঁরা ডায়েট করেন, তাঁদের কাছে শসা অত্যন্ত জনপ্রিয়। ডায়াবিটিস রয়েছে যাঁদের, তাঁরাও শসার উপর ভরসা করেন। কিন্তু এ ছাড়াও শসার আরও বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে। জানেন সেগুলি কী?
১) হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি-র পাশপাশি ভিটামিন কে-ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। হাড়ের জোর এবং টিস্যু মজবুত করতে ভিটামিন কে-র ভূমিকা রয়েছে। শসা হল ভিটামিন কে-র প্রাকৃতিক উৎস। বয়সকালে হাড় ভেঙে যাওয়া বা হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রোজ খাবারের তালিকায় রাখতে হবে শসা।
২) ওজন ঝরাতে সাহায্য করে: ওজন ঝরানোর লক্ষ্য নিয়ে যাঁরা শরীরচর্চা করতে শুরু করেছেন, তাঁদের খাবারের তালিকায় শসা থাকবেই। শসাতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই শসা খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। প্রায়ই যাঁদের মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে, তাঁরাও শসা ভেজানো জল খেতে পারেন।
৩) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট: দৈনন্দিন জীবনে বাড়তে থাকা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দেহের কোষগুলি নষ্ট করে। এই স্ট্রেস বা উদ্বেগ থেকে ডায়াবিটিস, ক্যানসার, অ্যালঝাইমার্স-সহ নানা দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এর থেকে মুক্তি দিতে পারে শসা। কারণ, শসাতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেশিয়ামের মতো যৌগ। যা এই স্ট্রেসজনিত ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৪) ক্যানসার প্রতিরোধক: শসার মধ্যে রয়েছে ‘কিউকারবিটাসিন’ নামক একটি যৌগ। যা শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে মজবুত করে তোলে। যা ক্যানসার হওয়া বা তা ছড়িয়ে পড়া রুখে দিতে সক্ষম। ক্যানসার রিসার্চ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি তথ্যে বলা হয়েছে, শসার মধ্যে থাকা একটি যৌগ প্রস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৫) উচ্চ রক্তচাপ কমায়: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতি দিন নিয়ম করে ওষুধ খেতে হয়? পাশাপাশি, রোজ খাবারে রাখতে পারেন শসাও। মূলত শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম, এই দু’টি যৌগের ভারসাম্যের উপর রক্তচাপের মাত্রা নির্ভর করে। পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর শসা, রক্তে এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।