জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে ২০১৮ সালে ঈদের নাটকে। তারপর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে চার বছর। দীর্ঘ বিরতির পর এবার তাকে পর্দায় দেখা যাবে। নিজের প্রোডাকশন হাউজের প্রথম ছবির মাধ্যমে পরিচালক কুসুম শিকদার আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন। ছবির নাম ‘শরতের জবা’। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিটির কাজ শেষ। চলছে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ।
অভিনেত্রী থেকে প্রযোজক-পরিচালক হওয়ার গল্প শোনালেন কুসুম। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে ডেইলি স্টারের ঈদ সংখ্যায় ‘শরতের জবা’ গল্পটি ছাপা হয়। তখনই পাঠকদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম। এরপর ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘অজাগতিক ছায়া’ গ্রন্থে গল্পটি ফের প্রকাশিত হয়। এবারও পাঠকের অসম্ভব ভালো প্রতিক্রিয়া পাই। একদিকে প্রোডাকশন হাউজ শুরু করার ইচ্ছে; অন্যদিকে এই গল্প। সবকিছু বিবেচনা করে এই গল্পটি বেছে নিলাম। গল্প, চিত্রনাট্য আমার লেখা। আমার মনে হয়েছে আমিই গল্পটি ঠিকমতো ফুটিয়ে তুলতে পারব। সেজন্যই পরিচালনায় আসা।’
নিজের গল্প ও পরিচালনায় অভিনয়ের কথা বলেন কুসুম এভাবে, ‘শুরুতে অভিনয় করতে চাইনি। ভয় পাচ্ছিলাম। যাকেই চরিত্রটি করতে বলতাম সেই তো আমার সহকর্মী। সংশয়ে ছিলাম। তাই নিজেই অভিনয় করলাম। আমার দাদা বাড়িতে শুটিং হয়েছে। রেকি করেছি তিনবার। আমার টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমে ছবিটির কাজ সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে।’=
জানা গেছে, কুসুম শিকদারের সাথে পরিচালনায় ছিলেন সুমন ধর। তার সহশিল্পী ছিলেন ইয়াশ রোহান, জিতু আহসান, শহীদুল আলম সাচ্চু, নরেশ ভূঁইয়া প্রমুখ। তিন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের এক ছাদের নিচে এনেছেন কুসুম। কাজটি কঠিন ছিল কি? একদম না, চটপট উত্তর নয়া পরিচালকের। তিনি বলেন, ‘কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা ১৪ দিন কাজ করেছি। তার ১০ দিনই টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে। আমি জানি না নিজে অন্যের কাজ এভাবে পারতাম কি না। আমার সহশিল্পীরা আমাকে ভালোবাসে বলেই তারা এভাবে ছবির কাজ শেষ করেছে।’
কুসুম জানান, ‘পোস্ট প্রোডাকশনের কাজে তার ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটছে। ঈদের সময়ও হয়ত সময় পাবেন না ঠিকমত উত্সবে মেতে ওঠার।’
সবশেষে ভক্তদের কথা জানান কুসুম। তিনি বলেন, ‘এ সংবাদ গণমাধ্যমে আসার পর ভক্তদের কাছ থেকে প্রচুর বার্তা পাচ্ছি। যেন ঈদ বা জন্মদিন!’