১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ২৪টা বছর। এত বছরেও সেখানে সীমান্ত সংলগ্ন বহু এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে যুদ্ধের চিহ্ন। যুদ্ধের সেই চিহ্নই মরণ ফাঁদ হয়ে দেখা দিল। কার্গিল যুদ্ধের একটি বোমা ফেটে মৃত্যু হল এক নাবালকের। বিস্ফোরণে গুরুতর ভাবে জখম হয়েছে আরও দুই নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছে লাদাখের কুরবাথাঙে। মৃত নাবালকের নাম বকির। এদিকে জখম হওয়া অপর দুই নাবালকের নাম আলি নকি এবং মুনতাজির মেহদি। তারা তিনজনেই পাশকুমের খারজঙের বাসিন্দা। (আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে নাজেহাল বাংলা স্বস্তি পাবে কবে? এই সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে নাকি)
ঘটনা প্রসঙ্গে পাশকুমের কাউন্সিলর কাচো মহম্মদ ফিরোজ বলেন, 'ছেলেরা ফুটবল মাঠের দিকে যাচ্ছিল। সেই মাঠেরই কাছে তারা এই বোমায় হোঁচট খেয়েছিল। বিস্ফোরণে আলি নকি এবং মুনতাজির মেহেদি গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের অবিলম্বে কুরবাথাঙের নতুন জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে। এদিকে দুর্ভাগ্যবশত, দুর্ঘটনায় জখম অপর এক নাবালক মারা যায়। তার আঘাত আরও বেশ গুরুতর ছিল। হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।'
এদিকে লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিডি মিশ্র বলেছেন যে আহত কিশোরদের মধ্যে একজন আপাতত বিপদমুক্ত এবং অন্য নাবালকও খুব সম্ভবত বেঁচে যাবে। দুই জখম নাবালকের পরিবারকেই এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। অপরদিকে মৃত নাবালকের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিডি মিশ্র। সংবাদসংস্থা এএনআইকে বিডি মিশ্র বলেন, 'ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এটা খবুই দুর্ভাগ্যজনক যে এই ঘটনা এক শিশু মারা গিয়েছে এবং অন্য দু'জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে।'
এদিকে ২৪ বছর আগের এই বোমার আচমকা বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের অনেক শিশু প্রায়ই খোলা মাঠে খেলতে যায়। এই আবহে শিশুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। পুলিশ সূত্র জানা যায়, কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এলাকার সব অবিস্ফোরিত বোমা চিহ্নিত করে তা সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।