পর্দায় জনপ্রিয় জুটি বাস্তবেও কাছাকাছি চলে এসেছিলেন, তাতেই বিপত্তি। শাহরুখ খান তখন বিবাহিত। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া প্রেম করেন শাহিদ কপূরের সঙ্গে। যদিও পর্দায় শাহরুখ-প্রিয়ঙ্কা জুটি তখন বিপুল জনপ্রিয়। তাঁদের রসায়ন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল দর্শকমহল। শোনা যায়, সে সময়েই তলে তলে ব্যক্তিগত জীবনেও সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁদের। তার অনেক আগেই কি শাহরুখের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা?
ফারহান আখতারের ‘ডন’ ছবিতে জুটি বাঁধার আগে থেকেই পরিচয় হয়ে গিয়েছিল দু’জনের। তখনও ছবির জগতে আসেননি প্রিয়ঙ্কা। ২০০০ সালে এক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ‘দেশি গার্ল’, যার চূড়ান্ত পর্বে অন্যতম বিচারক ছিলেন শাহরুখ।
প্রশ্নোত্তর পর্বে সমাজের আলাদা আলাদা ক্ষেত্রের তিন জনের কথা উল্লেখ করে শাহরুখ জানতে চান, প্রিয়ঙ্কা কার গলায় মালা দিতে ইচ্ছুক। চিত্রতারকা হিসাবে নিজেকেও শাহরুখ রেখেছিলেন সেই তালিকায়। তিনি নিশ্চিত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা তাঁকেই বেছে নেবেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কার উত্তর স্তম্ভিত করে দিয়েছিল বলিউড ‘বাদশা’কে।
কী কী বিকল্প রেখেছিলেন শাহরুখ? প্রিয়ঙ্কাকে বলেছিলেন, “ ধরো, এই তিন জনের মধ্যে একজনকে তোমার বিয়ে করতে হবে।আজ়হার ভাই (মহম্মদ আজ়হারউদ্দিন) -এর মতো একজন ভারতীয় খেলোয়াড়, যে তোমাকে বিশ্বের নানা প্রান্তে নিয়ে যাবে, যে দেশকে গর্বিত করবে।’’
এর পর শাহরুখ বলেন, ‘‘দ্বিতীয় জন কোনও শিল্পচেতনাসম্পন্ন ব্যবসায়ী, যাঁর নাম উচ্চারণ করা কঠিন, ধরো, স্বরোভস্কি। যে তোমাকে অলঙ্কারে মুড়ে রাখবে, সুদৃশ্য কণ্ঠহার দেবে, তোমাকে বাড়ির জন্য একটা হাওয়াই চটিও কিনতে হবে না।’’
নিজের কথা এ বারই ঢুকিয়ে দেন কৌশলে। অভিনেতার কথায়, ‘‘তৃতীয় জন আমার মতো হিন্দি ছবির কোনও তারকা, যে তোমাকে এমন সব প্রশ্ন করেছে।’’
শাহরুখ এ-ও বলেন, তাঁর উত্তর যা-ই হোক, নম্বরে প্রভাব পড়বে না। শাহরুখ নিশ্চিত ছিলেন, প্রিয়ঙ্কা তাঁর নামই নেবেন। কিন্তু সকলকে অবাক করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘ যদি এই তিন জনের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হয়, আমি খেলোয়াড়কে বেছে নেব।’’ উত্তর দেওয়ার সময় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, ‘‘যখন আমি ঘরে ফিরব, বা সে- ফিরবে, আমি তাঁকে বলতে পারব আমি তাঁর জন্য ততটাই গর্বিত, যতটা দেশ তাঁকে নিয়ে গর্বিত। তুমিই সেরা।’’
তাঁর উত্তর শুনে করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান দর্শকেরা। ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি’ দিয়ে ছবির জগতে পা রাখেন প্রিয়ঙ্কা। এখন হলিউডেও তাঁর জয়জয়কার