নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলানে গোধড়া খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার গোধড়া-চোষডাঙ্গা মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য ১ কিলোমিটার খাল খননে ব্যপক অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী। খালটি পুনর্জীবিত ও ফসলি জমির চাষাবাদের কৃষকদের উপকারের উদ্দেশে খনন করা হচ্ছে। কিন্তু কার্যাদেশ অনুযায়ী যে দৈর্ঘ প্রস্থ গভীরতা থাকার কথা সেটা কোনোভাবেই মানছে না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাল খননের মাটি কোনো প্রকার ড্রেস ছাড়াই ছড়ানো ছিটানো ভাবে দু’পাশে রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যাদেশ অনুযায়ী খাল খননের কাজ করা হয়নি। খালের দু’পাশ থেকে আড়াআড়ি করে কিছু মাটি কেটে ড্রেস ছাড়াই পাশে ফেলা হয়। যার ফলে খালের মাটি খালেই পড়ছে।
১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াজী ও কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, কৃষকদের উপকারের জন্য খাল খনন করার কথা। কিন্ত এভাবে খাল খনন করলে উপকারের চেয়ে খতিই বেশি হবে। কোনো প্রকার ড্রেস করা হয়নি। একটু বৃষ্টি হলে সমস্ত মাটি খালেই পড়ে যাবে। কার্যাদেশ অনুযায়ী দৈর্ঘ প্রস্থেও কোনো ঠিক রাখছেনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিছু বললে কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম নিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি প্রকল্পের কোনো সাইনবোর্ডও লাগাইনি। তড়িঘরি করে খাল খনন করে টাকা উত্তোলনের ধান্দা করছে ঠিকাদার। যেটা কখনোই মেনে নেওয়া যায়না। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। যেন আমাদের খাল সঠিকভাবে খনন করা হয়।
এ বিষয়ে ১০নং কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনছারুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি আমার দুজন ইউপি সদস্যকে তদন্তের জন্য প্রেরণ করি। তারাও দেখে এসে বলেছে সেখানে অনিয়ম হয়েছে। আমি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউল হকের সাথে কথা হলে তিনি অভিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মো: আনিসুর রহমানের পক্ষ টেনে বলেন, এখানে কার্যাদেশের চেয়ে বেশি কাজ করা হয়েছে। যেখানে ২৩ ফিট কাজ করার কথা সেখানে ২৭ ফিট করে কাজ করা হয়েছে। যারা অভিযোগ করছে তাদের মেপে দেখতে বলেন।