বাড়ির বড়রা সকালে আমাদের তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে বলেন, কারণ পড়াশোনা বা কাজ, স্বাস্থ্য ও মন ভাল রাখার জন্য। যা আমরা ছোট বেলায় একসময় করতাম কিন্তু এখন রাত জাগা আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে। বেদেও লেখা আছে সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময়, অভ্যাস না বদলালে সমস্যা হতে পারে!
যে কথাটি তাড়াতাড়ি ঘুমোতে আর তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা একজন ব্যক্তিকে সুস্থ ও বুদ্ধিমান করে তোলে। যদি দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা হয় তবে এতে যদি জীবনযাত্রার পরিবর্তন না হয় তবে এই রোগ হতে পারে।
সুস্থ থাকতে এক ব্যক্তির শুধু পর্যাপ্ত ঘুমই নয়, সময়মতো ঘুমনো এবং সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠাও খুব জরুরি। এখন পর্যন্ত যদি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে না ওঠা হয়, তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করে ফেলুন ।
আয়ুর্বেদেও উল্লেখ আছে যে সময়মতো ঘুমনো এবং সময়মতো ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস অনেক রোগকে দূরে সরিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমনো এবং সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের উপকারে আসবে।
উদীয়মান সূর্য দেখলে যেমন শরীর সতেজ অনুভব করে তেমনি শরীরের হরমোনগুলিও নিয়ন্ত্রিত হয়, যার কারণে হতাশার মতো মানসিক রোগের সমস্যা হয় না।
দীর্ঘ সময় ঘুমলে শারীরিক পরিশ্রম কমে যাবে যার ফলে শরীর কম ক্যালোরি খরচ করবে। আর এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘক্ষণ ঘুমলে বাম ভেন্ট্রিকুলার ওজন বাড়তে পারে, যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সকালের বাতাসে বিশুদ্ধতা বেশি থাকে। তাই ডাক্তাররা সকালে বাইরে হাঁটতে বলেন কারণ সকালের বাতাসে সর্বাধিক অক্সিজেন থাকে যা ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।