নওগাঁর সাপাহারে প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মানিক কে মারধর করে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ উঠেছে কথিত সাংবাদিক জুলফিকার আলী সম্রাটের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ২২ জনকে বিবাদী করে সাপাহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর আলমের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার করলডাঙ্গা গ্রামে সাপাহার প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিকের বাড়ির সামনে একটি বিবাদমান জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে করলডাঙ্গা পাড়ার দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ সৃস্টি হয়। এসময় সেই ঘটনার সংবাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক তাঁর হাতে থাকা একটি স্মার্ট ফোন দিয়ে বিবাদের ঘটনার ভিডিও করতে গেলে উপজেলার কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী জুলফিকার আলী সম্রাট'র নির্দেশে তার লোকজন করলডাঙ্গা পাড়ার কয়েকজন ব্যাক্তি সাংবাদিক মানিকের ফোনটি কেড়ে নিয়ে ব্যাপক মারপিট শুরু করে। মারপিটের একপর্যায়ে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক চোখের গোড়ায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম এবং হাতের আঙ্গুল ভেঙে গুরুত্বর আহত হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সাপাহার থানায় এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার। মারপিটের এঘটনায় রফিক উদ্দীন নামে আরও একজন আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জুলফিকার আলী সম্রাট বলেন, ওই সময় আমি বাড়িতে শুয়ে ছিলাম। ১০/১১ টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছি। এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ূন কবীর।