প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে ফোন দেখা অনেকেরই অভ্যাস। বারংবার বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা আগে ফোন ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। না হলে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে ঘুমের ঘড়িতে। যদি প্রতিদিন রাতে মাথার কাছে ফোন রেখে ঘুমান তাহলে আরো মারাত্মক বিপদ অপেক্ষা করছে।
ফোন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সঙ্গী।
অফিসের কাছ থেকে শুরু করে আর্থিক লেনদেন, সমস্ত সমস্যার সমাধান রয়েছে স্মার্টফোনে। বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে স্মার্টফোন ছাড়া বহু মানুষের কাছে জীবন অচল। কিন্তু স্মার্টফোন আপনার শরীরের জন্য বিপ্পজনক হতে পারে। আপনি যদি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন মাথার কাছে রেখে ঘুমান তাহলে এই অভ্যাস অবশ্যই ত্যাগ করুন।
গবেষণা অনুযায়ী, রাতে ঘুমানোর সময় শরীরের কাছাকাছি স্মার্ট ফোন রাখা অত্যন্ত বিপ্পজনক। এমনকি প্রাণঘাতীও হতে পারে। নেপথ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। আসলে অধিকাংশ মোবাইলে ব্যবহার করা হয় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। যেখান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রায় ১০০ ধরনের গ্যাস নির্গত হতে থাকে। যা মানুষের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। যার মধ্যে কার্বন মনোক্সাইডের মতো মারাত্মক গ্যাস।
দিনের পর দিন যদি আপনি মাথার কাছে কিংবা আপনার শরীরের কাছে মোবাইল ফোন রেখে ঘুমান তাহলে সাবধান। বিষাক্ত গ্যাস ধীরে ধীরে আপনার শরীরে প্রবেশ করবে। প্রতিদিন যে পরিমাণে ক্ষতিকারক গ্যাস ফোন থেকে নির্গত হয় তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটা চলতে থাকলে তা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
রাত্রে ঘুমানোর আগে ফোন অবশ্যই আপনার থেকে অন্তত আড়াই থেকে তিন মিনিট মিটার দূরে রাখবেন। যদি রাত্রে ঘুমানোর সময় আপনার মাথার কাছেই মোবাইল চার্জ কিংবা হেডফোনে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে এই দুটি অভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন।
খুব ভালো হয়, যদি ঘুমানোর সময় মোবাইল অন্য কোন ঘরের রেখে দেন। দরকার পড়লে দিনের বেলায় ফোনের ফুল চার্জ দিয়ে রাখুন। যদি একান্তই আপনার শোবার ঘরে মোবাইল ফোন রাখতে হয় তাহলে ঘরের অন্তত একটি জানলা খুলে রাখার চেষ্টা করুন। মোবাইলে ব্যবহৃত ব্যাটারি যত নিম্নমানের হবে ততই তা ক্ষতিকারক। এমনকি এগুলো থেকে বিস্ফোরণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
যদি ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোনের ওয়াইফাই চালু রেখে ঘুমান তাহলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এই অভ্যাস গর্ভস্থ ভ্রূণের বিকাশে প্রভাব ফেলে। শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশের বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি রয়েছে ক্যানসারের ঝুঁকি। যারা প্রতিদিন রাতে মাথার কাছে ওয়াইফাই অন করে ঘুমান তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।