খোলাবাজারে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বিক্রির জন্য মালয়েশিয়া থেকে ‘তুলনামূলক কম দামে’ চিনি কিনতে পারার কথা জানিয়েছে সরকার।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব পাস করা হয়, যার মাধ্যমে মোট ২৫ হাজার টন চিনি আসবে দেশে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, একটি প্রস্তাবে মালয়েশিয়ার ব্রিজো মেরিন এসডিএন বিএইচডির কাছ থেকে ৬৮ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকায় কেনা হবে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি। দেশের বন্দরে আসা পর্যন্ত প্রতি কেজির দাম পড়বে ৮৯ টাকা ৫০ পয়সা।
একই পরিমাণ চিনির আরও একটি চালান আসবে ৬৯ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। এই প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ৮৮ দশমিক ৭৪ টাকা।
টিসিবি রোজায় যেসব পণ্য বিক্রি করছে, তার মধ্যে একটি চিনি। ভর্তুকি মূল্যে পণ্যটি বিক্রি করা হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকা দরে।
অর্থাৎ মালয়েশিয়া থেকে চিনি কেনা হলেও সরকারকে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হবে স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য।
গত দুই বছরে বাংলাদেশে যেসব পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে, তার একটি চিনি।
দেশের বাজারে সরকার প্রতিকেজি খোলা চিনি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; যদিও খোলা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে এর চেয়েও ৪/৫ টাকা বেশি দামে।
টিসিবির হিসাবে এক বছরে পণ্যটির দাম বেড়েছে ৪২ শতাংশেরও বেশি। ৭৫ টাকা থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়েছে পণ্যটি।
রোজায় কিছুটা কম দামে বিক্রির জন্য সরকার চিনির আমদানি শুল্ক কমিয়ে সুফল পায়নি। কেজিপ্রতি অন্তত ১০ টাকা শুল্ক ছাড় দেওয়ার ৪০ দিন পর গত ৭ এপ্রিল কেজিপ্রতি তিন টাকা দাম কমানোর ঘোষণা এসেছে।
তবে বাজারে এই দাম কমানোর প্রভাব পড়েনি বললেই চলে। আগের দামেই এখনও বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্যটি।