মাংস, বিয়ার থেকে ক্যানসার হতে পারে? ১০ রকম কার্সিনোজেনিক উপাদান পেলেন বিজ্ঞানীরা


লাইফস্টাইল ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 10-04-2023

মাংস, বিয়ার থেকে ক্যানসার হতে পারে? ১০ রকম কার্সিনোজেনিক উপাদান পেলেন বিজ্ঞানীরা

বাজারচলতি প্রসেসড মাংস, প্রিজারভেটিভ দেওয়া জাঙ্ক ফুড, সফট ড্রিঙ্কস বেশি খেতে বারণ করেন ডাক্তাররা। পই পই করে বলা হয়েছে, প্রসেসড মিট  না খেতে কারণ এই ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবারে এমন উপাদান থাকতে পারে যা ক্যানসারের কারণ হয়ে ওঠে। এতদিন ডাক্তারবাবুরা শুধু নির্দেশই দিয়েছেন, এবার বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তা প্রমাণিত হয়েছে। দেখা গেছে, প্রক্রিয়াজাত মাংস, বিয়ার, কয়েকরকম অ্যালকোহল, কোকোয়া থেকে ক্যানসার হতে পারে।

ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি এজেন্সির  বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইদানীংকালে জাঙ্ক ফুট, প্রসেসড ফুড খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এই কারণেই জন্যই ক্যানসার নামক মারণ অসুখ ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে। প্রসেসড ফুড ও অ্যালকোহলের মধ্যে প্রায় ১০ রকম কার্সিনোজেনিক উপাদান খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই উপাদানগুলিকে বলে নাইট্রোসামাইন। এরা কার্সিনোজেনিক ও জেনোটক্সিক। মানুষের শরীরে ঢুকলে অক্সিডাইজড হয়ে আরও ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। টিউমার কোষের বাড়বৃদ্ধি ঘটায়। 

ইঁদুর জাতীয় প্রাণির উপরে পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, নাইট্রোসামাইন খাদ্যনালির ক্যানসার ও কোলন ক্যানসারের কারণ হয়ে উঠছে। এমনকি লিভারে টিউমার হচ্ছে। এই টিউমার কোষ অতি দ্রুত বিভাজিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা লিভারে। ক্ষত তৈরি হচ্ছে লিভারে যাকে বলে সিরোসিস। পরবর্তী সময়েই এই লিভার সিরোসিসই ক্যানসারের কারণ হয়ে উঠছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই নাইট্রোসামাইন এক ধরনের জৈব যৌগ। যে রাসায়নিকগুলি কার্সিনোজেনিক নয়, তবে শরীরে বিপাকযুক্ত হয়ে কার্সিনোজেনে পরিণত হয় তাদের প্রো-কার্সিনোজেন বলে। যেমন, নাইট্রাইট বিপাক হয়ে নাইট্রোসামাইন তৈরি করে। প্রসেসড মাংস, প্রসেসড মাছ, বিয়ার, কয়েক রকম অ্যালকোহল, সফট ড্রিঙ্কস অতিরিক্ত খেলে তা শরীরে বিপাক হয়ে নাইট্রোসামাইন তৈরি করে। এই নাইট্রোসামাইন দিনের পর দিন জমা হতে হতে টিউমার কোষ তৈরি করে যা ক্যানসারের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

ফাস্ট ফুডের প্যাকেজিং এবং সংরক্ষণের জন্য যে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় তাও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সব খাবারের প্যাকেজিংয়ে ব্যবহার করা হয় গ্রিজ প্রুফ পেপার। যার মধ্যে থাকা ফ্লোরিনেটেড যৌগ বাড়িয়ে দেয় ক্যানসারের ঝুঁকি। ভাজাভুজি ও তৈলাক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট, অ্যালকোহল, তামাক এবং শরীরচর্চার ঘাটতি—এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোই বাড়িয়ে দেয় মারণ রোগ ক্যানসারের ঝুঁকি।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]