রাজশাহীতে ব্রোকারেজ হাউজ বাড়লেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা


মঈন উদ্দিন , আপডেট করা হয়েছে : 10-04-2023

রাজশাহীতে ব্রোকারেজ হাউজ বাড়লেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

রাজশাহীতে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ব্রোকারেজ হাউজ বেড়ে দাড়িয়েছে ১৬টি। গত দুই বছর আগেও রাজশাহীতে ব্রোকারেজ হাউজ ছিল মাত্র ৮টি। ব্রোকারেজ হাউজ বাড়লেও বাড়েনি বিনিয়োগকারী। এমনকি কমেছে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা। বাজার ভালো না থাকার কারণেই রাজশাহীর বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, গত এক বছরে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ বিনিয়োগকারী কমে গেছে।

রাজশাহীতে বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবিসহ মোট ১৬টি ব্রোকারেজ হাউজের শাখা রয়েছে। এগুলো হলো আইসিবি রাজশাহী, এমটিবিএস, এসসিসিএস, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ, বিডি ফিন্যান্স, পিএআই, সাওতা সিকিউরিটিজ, শ্যামল সিকিউরিটি, রয়েল ক্যাপিটাল, আকিজ সিকিউরিটি, এনআরবিসিএস, ন্যাশনাল ব্যাংক সিকিউরিটি, আইসিবি ক্যাপিটাল, আইএসটিসিএল, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটি ও গ্লোবাল সিকিউরিটি লিমিটেড।

সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায়, রাজশাহীতে প্রতি মাসে অন্তত ২০০ কোটি টাকার লেনদেন হতো। বর্তমানে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার কারণে সেটি ঠেকেছে ২০-২৫ কোটি টাকায়। বর্তমানে প্রতিটি হাউজেই একই অবস্থা, কোনোটিতে লাখ টাকার লেনদেনও হচ্ছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কর্মীরা বলছে, রাজশাহীতে মূল বিনিয়োগকারী হলেন শিক্ষক ও ছাত্ররা। ফ্লোর প্রাইসের কারণে রাজশাহীতে বিনিয়োগ কমেছে। এছাড়া অনেকেই আগের মতো বিনিয়োগ করতে চায় না। মূলত বাজার ঠিক না থাকায় তারা বিনিয়োগ থেকে সরে আসছেন। আগে একটি ব্রোকারেজ হাউজে অন্তত ২৫ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট থাকতো। এখন সেটি কমতে কমতে ১ হাজারে ঠেকেছে। অনেকেই বিও অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করছে।

গ্লোবালব সিকিউরিটিজ লিমিটেড রাজশাহীর ইনচার্জ হাসিবুল বাসার সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহীতে আগের চেয়ে ব্রোকারেজ হাউজ বেড়েছে। তবে বিনিয়োগকারী কমেছে। এখানে মূলত শিক্ষক ও ছাত্ররা বিনিয়োগ করেন। কোনো কোনো হাউজে এখন লাখ টাকা লেনদেনে ঠেকেছে। রাজশাহীতে আগে যা বিনিয়োগ হতো সেটি এখন গড়ে এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। নতুন বিও অ্যাকাউন্টও কমেছে। অনেকেই বিও হিসাব খোলার ফর্ম নিচ্ছেন কিন্তু জমা দিচ্ছেন না।

রাজশাহীতে নিয়মিত শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ কারীরা বলেন, সরকার নির্বাচনের কারণে ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে দিচ্ছে না। এতে কেউ নতুন করে বিনিয়োগও করছে না। অনেকেই নির্ধারিত দামে কিনতে চাইছে না। এখন ক্রেতা না থাকায় বিনিয়োগ করছেন না। তারা বলেন, রাজশাহীতে আগে এত সুযোগ-সুবিধা ছিল না। কিন্তু এখন অনেক সুযোগ-সুবিধা। অনেকগুলো ব্রোকারেজ হাউজ আছে। তবে বাজার ঠিক করার জন্য কোনো মনিটরিং কমিশন নেই। রাজশাহীতে যদি মনিটরিং কমিশন থাকতো ও বাজার স্বাভাবিক থাকতো তবে ঢাকার পরই রাজশাহীর অবস্থান হতো। কিন্তু ঠিক কী কারণে এমনটি হলো তা বলতে পারবো না। আশা করি শিগগির রাজশাহীতেও একটি স্টক এক্সচেঞ্জ হবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]