মিয়ানমারে চার দিনে শতাধিক জান্তা সেনা নিহত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 08-04-2023

মিয়ানমারে চার দিনে শতাধিক জান্তা সেনা নিহত

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ বাহিনী ও সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর হামলা জোরদার করেছে। এতে গত চার দিনে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে হামলায় অন্তত ১১৪ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও কারেন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র গোষ্ঠী যৌথভাবে সরকারের বর্ডার গার্ড ফোর্সেসের (বিজিএফ) ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। কারেন রাজ্যের মিয়াবতী টাউনশিপে এই হামলা চালানো হয়।

কারেন ও চিন রাজ্যের সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে এবং তানিন্থারি অঞ্চলেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তবে স্বতন্ত্রভাবে হতাহতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাদ্যমটি।

বুধ (৫ এপ্রিল) ও বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) কারেন রাজ্যের মায়াওয়াদ্দি টাউনশিপে প্রতিরোধ বাহিনীর হামলায় ৮৫ জনেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। এখানে পিডিএফের সঙ্গে বেশ কয়েকটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী যৌথভাবে যোগ দেয়। সম্মিলিতভাবে তারা বিজিএফের অন্তত পাঁচটি ফাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিরোধ বাহিনীর কমান্ডাররা।

দু’দিন ধরে পরিচালিত হামলায় বিজিএফের পাঁচটি ফাঁড়ি দখলের পর সেগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৭৫টি আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় কারেন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে ভয়াবহ সংঘাত শুরু হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের হাজার হাজার বাসিন্দা প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ লড়াইয়ের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন। থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় কারেন প্রদেশের মায়াবতী শহরের আশপাশের অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বর্তমানে তুমুল সংঘর্ষ চলছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]