সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুধে তৈরি সুস্বাদু পানীয় খ্যাতি পেয়েছে ‘সলপের ঘোল’ নামে। শুধু এ জেলায় নয় দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে সলপের ঘোলের সুনাম ও জনপ্রিয়তা। রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকেই ঐতিহ্যবাহী সলপের ঘোলের দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট ব্যবসা। ঘোলের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ।
রমজান উপলক্ষে জেলার উল্লাপাড়ার সলপ স্টেশন থেকে প্রতিদিন ঘোল বিক্রি হচ্ছে ৩০/৩৫ মণ। প্রতি লিটার ঘোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং মাঠা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। এই সুস্বাদু পানীয় ঘোল জেলার ৯টি উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে সারাদেশেও। শুধু চলনবিল ও যমুনা নদীবেষ্টিত এই জনপদে নয়, দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে আছে সলপের ঘোলের সুনাম। স্থানীয় লোকজন বলেন, এ ঘোল তৈরির পেছনে আছে ১০০ বছরের ঐতিহ্য।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে সলপ রেলস্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের পাশে ঘোলের দোকানগুলো জমে উঠেছে। দোকানের সামনে মাটির পাত্রে পসরা সাজিয়ে চলছে বিক্রি। দোকানের পেছনে কর্মীরা ঘোল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানের সামনে স্টিলের হাড়ি থেকে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ঘোল ও মাঠা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলার পাইকাররা এখান থেকে ঘোল নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করেন। অনেকে আবার পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ঘোল ও মাঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিন এই এলাকায় ৩০ থেকে ৩৫ মণ ঘোল ও মাঠা বিক্রি হয়। বর্তমানে প্রতি লিটার ঘোল ৭০/৮০ টাকা, মাঠা ৯০/১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সলপ দই ঘরের ঘোল উৎপাদনকারী আব্দুল খালেক বলেন, এই ঘোল সারাদেশে সমাদৃত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ সলপে আসেন ঘোলের স্বাদ নিতে। সারা বছরই এখানে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকে। তবে রমজান মাসে সলপের ঘোলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। সিরাজগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে পাইকার ও মৌসুমী ক্রেতারা আসেন ঘোল কিনতে। আমরা ব্যবসায়ীরা সলপের ঘোলের মান ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে সর্বক্ষণ সচেষ্ট রয়েছি।