বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে এক তরুণী কানাডা থেকে ছুটে এসেছিলেন হরিয়ানার গ্রামে। তারপর থেকে তার আর খোঁজ মিলছিল না। গত বছরের জুন মাস থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে মঙ্গলবার একটি জমি থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় তার বয়ফ্রেন্ড সুনীলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে, নীলম বলে তার ওই প্রেমিকাকে অপহরণ করে মাথায় পরপর দুটি গুলি চালিয়েছিল সে। পরে সেই দেহ সে জমিতে পুঁতে দিয়েছিল। প্রমাণ লোপাটের জন্য সে এই কাজ করেছিল।
নীলমের বোন রোশনি অভিযোগ করেছিলেন, ইন্টারন্যাশানাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেমের পরীক্ষা পাস করে সে কানাডায় গিয়েছিল। এরপর সুনীল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে ফিরিয়ে আনে।
এদিকে পরে সুনীলও বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল। তবে পুলিশ মিসিং ডায়েরি পেয়েও বিশেষ কিছু করেনি। এরপর হরিয়ানার হোম মিনিস্টারের সঙ্গে দেখা করেন নীলমের আত্মীয়রা। সেখান থেকে চাপ দেওয়ার পরে তদন্তকারী সংস্থা নড়েচড়ে বসে। তারা সুনীলকে গ্রেফতার করে। এরপরই সুনীলকে জেরা করার পরে সে আসল সত্যটা সামনে আনে। তাদের জমিতে দশ ফুট গর্ত করে সে নীলমের দেহ পুঁতে দিয়েছিল। সেখান থেকে সেই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেটাই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে সুনীল আগেও নানা ধরনের ক্রাইম করেছে। তার বিরুদ্ধে নানা মামলাও রয়েছে। তার কাছে বেআইনি অস্ত্রও রয়েছে। তারই ফাঁদে পড়েছিল নীলম। তাকে প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে আনা হয়েছিল। কিন্তু সবটাই ছিল সাজানো। এরপর তাকে ওই জমিতে নিয়ে গিয়ে পরপর মাথায় গুলি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পরে তার দেহ গভীর গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আরও কেউ কি এর পেছনে ছিল?