নাবালিকাকে বিক্রি করতে না পেরে খুন , গ্রেফতার মা ও মেয়ে


সুমাইয়া তাবাস্সুম: , আপডেট করা হয়েছে : 05-04-2023

নাবালিকাকে বিক্রি করতে না পেরে খুন , গ্রেফতার মা ও মেয়ে

মধ্যপ্রদেশে আবারও সামনে এল নারী পাচার চক্রের ঘটনা। ১২ বছরের এক নাবালিকাকে পাচারে ব্যর্থ হওয়ায় খুন করার অভিযোগ উঠল এক মহিলা এবং তার মেয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলায়। এই অভিযোগে ৫৬ বছর বয়সি ওই মহিলা এবং তার মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা এবং তার মেয়ে ওই নাবালিকাকে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতে চাইছিল। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হওয়ায় পুলিশের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে মা এবং মেয়ে মিলে নাবালিকাকে খুন করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম হল মনোরমা এবং তার মেয়ে কিরণ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা নাবালিকাকে থেঁতলে খুন করেছে। গত ২৪ মার্চ ইন্দোর জেলার রেললাইনের কাছ থেকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুপার হিতিকা ভাসাল সাংবাদিকদের বলেছেন, অভিযুক্তরা মেয়েটিকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চেয়েছিল। নাবালিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কিরণের। সেইসূত্রে ওই নাবালিকাকে ২২ মার্চ ধর জেলার পিথমপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল কিরণ। সেখানে গিয়ে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল।

সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটিকে এক ব্যক্তির কাছে ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল। তবে সেই ব্যক্তি মেয়েটিকে কিনতে অস্বীকার করে। ঘটনায় মেয়েটি ভয় পেয়ে যায় এবং বাড়িতে পৌঁছনোর পরে বিষয়টি সকলকে জানিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। তখন গ্রেফতারের ভয়ে কিরণ এবং তার মা মিলে নাবালিকাকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ সুপার জানান, ২৪ মার্চ ইন্দোর জেলার শিপ্রা থানার অন্তর্গত রেললাইনের কাছে মেয়েটির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এলাকার ১০০ টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে মা ও মেয়েকে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপরে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই খুনের কথা স্বীকার করে ধৃতেরা। মনোরমার স্বামী ও ছেলের খোঁজ করছে পুলিশ। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]