রাজশাহীর পুঠিয়ায় সময়মত এনজিও'র ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন এক এনজিও কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ওই নারী এনজিও কর্মকর্তার নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে অভিযোগ তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রাত ১০টার দিকে উপজেলা পৌর সদরের ৫ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরের দিন সকালে মিলি (৩৫) নামের ভুক্তভোগি ওই নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অপরদিকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী উত্তরা ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম সোসাইটি (ইউডিপিএস) পুঠিয়া উপজেলা শাখা কর্মকর্তা কামেল উদ্দীন (৪৫)।
ভুক্তভোগি ওই নারী বলেন, তিনি ইউডিপিএস'র সদস্য। সে মোতাবেক গত বছর সেখান থেকে একটা ঋণ নেয়া হয়। তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে পরিবারে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে যায়। যার কারণে সময়মত ওই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হই। তবে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রাত ১০ টার দিকে ঋণ আদায়ের বিষয়ে আলোচনা আছে বলে ওই কর্মকর্তা আমাদের বাড়িতে আসেন। আর আমার স্বামি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সে্লসম্যানের চাকুরি করেন। সে কারণে রাতে তার বাড়িতে আসতে একটু দেরি হয়। আর সে সুযোগে ওই এনজিও কর্মকর্তা প্রথমে আমাকে শারীরিক মিলনের কুপ্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় আমি চিৎকার শুরু করলে সে পালিয়ে যায়। পরের দিন ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউডিপিএস'র শাখা কর্মকর্তা কামেল উদ্দীন ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঋণ নিয়ে ওই নারী দীর্ঘদিন থেকে কিস্তি পরিশোধ করেননি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী বিকেলে আমিসহ অফিসের কযেকজন স্টাফ বকেয়া ঋণ আদায়ে ওই নারী সদস্যের বাড়িতে যায়। সে সময় ওই নারী আমাদের ঋণের কিস্তি না দিয়ে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। এখন শুনছি আমার নামে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ