ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে
প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিসের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য
স্থগিত করেছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি
মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল জারিসহ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে হাই কোর্ট বলেন, প্রত্যেক মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা
রয়েছে। এটাই আমাদের সংবিধানের স্পিরিট। কাউকে কানসহ মুখ খোলা রাখতে বাধ্য
করা যাবে না। রুলে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিস কেন অবৈধ
হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে
শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। গত ১৯
ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন
চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ
করে হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী
মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন। এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলা
বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক স্বাক্ষরিত নোটিসে বলা হয়, ‘বাংলা
বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে, ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত
বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ
ক্লাস (টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং
মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল
পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’ পরে আরেক নোটিসে একই বিষয়ে বলা হয়,
‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এ সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য
দেখাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’