চোখের পাতা লাফিয়ে ওঠলেই সবাই ভেবে নেয়, চরম বিপদ আসছে! আসলে বিষয়টি একেবারেই ভুল। চিকিত্সা বিদ্যা বলছে এটি একটি কুসংস্কার। তবে কেন চোখের পাতা লাফায়, সেই কারণটা অনেকেরই অজানা। প্রধানত পেশী সংকোচনের ফলে চোখের পাতা লাফায়। চিকিত্সকদের মতে, ডাক্তারি ভাষায় এই রোগটির নাম মিয়োকিমিয়া।
দিনে দু-একবার হলে সেটি স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। তবে সেটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। চোখের পাতা কাঁপা বা লাফানোর পেছনে মারাত্মক সাতটি স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ আছে। তা হলো-
কঠিন মানসিক চাপে থাকলে শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।
পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোনো কারণে ক্লান্ত থাকলে চোখের পাতা লাফানো শুরু হতে পারে। এজন্য দরকার ঘুম।
যাদের চোখে এলার্জি আছে, তারা অনবরত চোখ চুলকান। ফলে চোখের জলের সঙ্গে হিস্টামিনও নির্গত হয়। এর কারণে চোখ কাঁপে বলে অনেকে মনে করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে চোখের পাতা লাফাতে পারে। তাই এসব বর্জন করাই শ্রেয়।
কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অতিরিক্ত অ্যালকোহলের প্রভাব, চোখে কন্ট্যাক্ট লেন্স ঠিকমতো না বসানো কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখের মধ্যেকার নার্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে। চোখের শুষ্কতার কারণে চোখের পাতা লাফায় বলে চক্ষু চিকিত্সকরা মনে করেন।
পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাকেও চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ হিসেবে দেখা হয়। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব জনিত কারণে এমনটি হতে পারে।
দৃষ্টিগত কোনো সমস্যা থাকলে চোখের ওপর চাপ পড়ে। অনেকক্ষণ টিভি, কম্পিউটার, স্মার্টফোনের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সব সমস্যা থেকে চোখের পাতা লাফানো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ