রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী ও অব্দা কলাবাগান মসজিদের খতিব। মাসাদুল হাসানের একজন গরিব শিক্ষাথী মৌসুমির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে অনুরোধ করে বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ৫ বছর দাম্পত্য জিবনে তাদের একটি দুই বছরের ফুটফুটে কণ্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর এক বছর না যেতেই মৌসুমিকে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করত খতিব মাসাদুল হাসান। তার বাড়ি নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রামে।
তার স্ত্রীর মৌসুমির দাবি, অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্কের জেরে তার উপর নানা ধরনের অজুহাত তুলে নির্যাতন ছিলো নিত্য দিনের ঘটনা। এরই ধারাবাহিকতায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে (২৩ জানুয়ারি) মৌসুমির পেটে পেটে লাথি মেরে আহত করে খতিব।
ওই সময় মৌসুমির রক্ত ক্ষরন হতে থাকলে রাত ১০টায় মহানগরীর লক্ষিপুর ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করে পাষন্ড স্বামী মাসাদুল হাসান। এরপর (২৪ জানুয়ারী) শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মৌসুমির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার গর্ভপাত করান।
(২৫ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বামী মাসাদুল হাসান, শ্বশুর মাজদার রহমান (রাসিক ট্রাইভার) মা শাহানাজ পারভিন। হাসপাতাল থেকে অসুস্থ মৌসুমির ছুটি নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ব্যপক মারধর করে। এদিন রাসিকের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর উম্মে সালমা বিষয়টি জানতে পেরে মৌসুিমর মা-বাবাকে ডাকেন এবং চন্দ্রিমা থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানার এসআই রেজাউল ও সঙ্গীয় র্ফোস গৃহবধূ মৌসুমিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পরের দিন (২৬ জানুয়ারী) হাসপাতাল থেকে তার বাবার বাড়ি যান মৌসুমি। বাড়ি ফিরে দেখেন শ্বশুর বাড়ীর লোক তার বাড়িত শুধু তার কোরআন শরিফ পাঠিয়েছেন। কিন্তু ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় কিচ্ছু দেয়নি।
এ ঘটনায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কাউন্সিলরের দারস্থ হন মৌসুমি ও তার পরিবার। কিন্তু কোন ভাবেই আপোষ-মিমাংসা করতে রাজি হয়নি স্বামী, শশুর ও শাশুড়ি। পরে মৌসুমি বাদী হয়ে জেলা রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (১) আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(খ)/৩০ (সংশোধনী ২০০৩) তৎসহ ৩১৩ দঃ বিঃ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়ত্বি দেন আদালত।
পেটের সন্তান হত্যাকারী ও নারী নির্যাতনকারী খতিবের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী মৌসুমির মা।
এ ব্যপারে খতিব মাসাদুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সাক্ষাত মেলেনি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজশাহীর সময় / এফ কে