সেহরির পর রোজার নিয়ত


ধর্ম ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 24-03-2023

সেহরির পর রোজার নিয়ত

রমজানের রোজা রাখা যেমন ফরজ তেমনি রোজার জন্য নিয়ত করাও ফরজ। নিয়ত ছাড়া দিনভর না খেয়ে উপোস থাকা এবং স্ত্রী সহবাস না করলেও রোজা হবে না। রোজা রাখার জন্য সেহরির পর অন্তরের দৃঢ় সংকল্প করাই নিয়ত।

বহু প্রচলিত রোজার নিয়ত

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَّكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

উচ্চারণ : ‘নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

সেহরির পর এভাবেও রোজার নিয়ত করা যেতে পারে

بِصَوْمِ غَدٍا نَوَيْتُ مِنْ شَهْرِ رَمَضَان

উচ্চারণ : 'বিসাওমি গাদিন নাওয়াইতু মিন শাহরি রামাদান।'

অর্থ : 'আমি রমজান মাসের আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করছি।'

নিয়ত সম্পর্কিত কিছু জরুরি কথা:আরবি কিংবা বাংলায় মুখে নিয়তের উচ্চারণ বলা জরুরি নয়। এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে শামিতে এসেছে, ‘আভিধানিক সূত্রে নিয়ত হলো ‘আজম’। আর ‘মনের দৃঢ় সংকল্পকে’ আজম বলা হয়।

কিন্তু রোজা রাখার জন্য নিয়ত ফরজ- এ বিষয়টি অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে রোজার নিয়ত মুখে বলা বা মনের সংকল্প কোনোটিই করেন না। মুখে রোজার প্রচলিত নিয়ত তথা আরবি ও বাংলা শব্দগুলো উচ্চারণ করার পরও যদি অন্তরে রোজা রাখার দৃঢ় সংকল্প না থাকে তবে তা নিয়ত হবে না। তাই রোজা রাখার বিষয়টি অন্তরের দৃঢ় সংকল্পে থাকতে হবে।

সুতরাং মূল কথা হলো- রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত করতে হবে। মুখে উচ্চারণ করার পরও অন্তরে একনিষ্ঠ সংকল্প রাখতে হবে। তবেই রোজা আদায় হবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]