পাবনার ঈশ্বরদীতে ধর্ষণের অভিযোগে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ মার্চ) রাতে এক তরুণী ছাত্রলীগ নেতা শাওনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শাওন পৌর এলাকার ঈদগাহ রোডের শহিদুল ইসলামে ছেলে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী তিন বছর আগে ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরি করার সময় পরিচয় হয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শাওনের সঙ্গে। পরবর্তীতে তারা দু’জন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময় ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে শাওন। বার বার বিয়ের কথা বললেও তা এড়িয়ে চলতো অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শাওন।
ভুক্তভোগী তরুণী মামলার সিদ্ধান্ত নিলে অভিযুক্ত শাওনের বাবা শহিদুল ইসলাম বিয়ের আশ্বাস দেন। এ সময় শাওনের বাসায় প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ভাড়াটিয়া পরিচয়ে তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করে। শাওন এ সুযোগে অবাধে মেলামেশা করে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে। বুধবার আবারও বিয়ের কথা বললে তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয় অভিযুক্ত শাওনের পরিবারের লোকজন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, শাওন তাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। ব্যবসার কথা বলে তার কাছ থেকে টাকাও ধার নেয়। এরপর বেশ কিছুদিন শাওন লাপাত্তা ছিলো।
অভিযুক্ত শাওনের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, রূপা আমাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল। তার চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।