প্রতি বছর ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক অরণ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিন দিন বেড়েই চলেছে পৃথিবীর উষ্ণতা। একই সঙ্গে বেড়ে চলেছে গাছ কাটার প্রবণতা। এদিকে গাছ যত কমবে ততই বাড়বে গ্ৰিন হাউস গ্যাস। মানুষের বসবাসের অযোগ্য হবে পৃথিবী। সে কথা মনে করিয়ে দিতেই পালন করা হয় এই বিশেষ দিনটি। বনাঞ্চলকে পৃথিবীর ফুসফুস বললেও ভুল বলা হয় না। বনাঞ্চল বাতাসের দূষিত কণাকে অধঃক্ষিপ্ত করে। জলকে পরিস্কার রাখে। আর শ্বাসবায়ুকে বিশুদ্ধ করে দেয়।
২০১২ সালে বিশ্ব অরণ্য দিবস প্রথম পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ওই বছর বনাঞ্চল রক্ষা করার জন্য এই বিশেষ দিনটি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও মানুষকে সচেতন করা সবচেয়ে প্রথমে জরুরি। এমন একটি ভাবনাও কাজ করেছিল দিনটি শুরুর পিছনে।রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বনাঞ্চল ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে তবেই জলবায়ু পরিবর্তনকে রুখে দেওয়া যেতে পারে। সাম্প্রতিক ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যও এটি জরুরি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও ১.৬ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি অরণ্য থেকে নিজেদের জীবিকার রসদ জোগাড় করে বেঁচে থাকে। খাবার, ওষুধ, আশ্রয়, অর্থ উপার্জন এই সব বনাঞ্চল থেকেই তাঁরা পায়। বড় বড় বন ধবংস করার ফলে তাদের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও পরোক্ষভাবে বিপদে পড়ছে সারা পৃথিবীর জলবায়ু ও প্রাণীজগত।
কোলবরেটিভ পার্টনারশিপ ফর ফরেস্টস প্রতি বছর এই দিনটির থিম বা ভাবনা নির্বাচন করে। সেই ভাবনাকে ঘিরেই দিনটির উদযাপন হয়। তেমনই ২০২৩ সালের বিশেষ ভাবনা হল ‘অরণ্য ও স্বাস্থ্য’। বনের সঙ্গে মানুষের জীবন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বন ধবংস হওয়ার জন্য পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে নানারকম রোগের প্রাদুর্ভাব। সেই কারণেই এই বছরের বিশেষ থিম হল ‘বনাঞ্চল ও স্বাস্থ্য’।