দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশে সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল থেকে গাছ কাটা ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ সময় বনাঞ্চলের কোর-জোন রক্ষার্থে বাফার জোন এলাকায় স্থানীয় দরিদ্র জনগণের সম্পৃক্ততায় পরিচালিত অংশীদারিত্বভিত্তিক সামাজিক বনায়ন প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
গত বছর মন্ত্রিসভায় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের পর রোববার এ বিষয়ে গেজেট জারি করেছে সরকার।
এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ (সংরক্ষিত বনের গাছ) কাটা যাবে না। তবে এ সময় সোশ্যাল ফরেস্টের গাছ কাটা যাবে। সোশ্যাল ফরেস্টের মধ্যে কারও ব্যক্তিগত, রাস্তার পাশের বনায়ন বা ডিপ ফরেস্টের আগে একটা বাফার জোন থাকে। সেখানে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে জয়েন্ট বনায়ন হয়।
যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাছ কাটে, তাহলে বন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, এ বিষয়ে গেজেট নোটিফিকেশন হবে।