কাজের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশি এক নাবালিকাকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মহেশতলা থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে ওই নাবালিকাকে ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হয়। ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ধর্ষকরা হলো: ইমরান মোল্লা ও শেখ বাপি। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহেশতলা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। ভারতে একটি শাড়ি তৈরির কারখানায় কাজ করার জন্য ভারতে যায়। তবে ওই মহিলা তাকে ওই কারখানায় কাজ দিতে পারেননি। তিনি নাবালিকাকে জানান, কলকাতায় বার ডান্সারের কাজ করে দিতে পারবেন। এরপর ওই নাবালিকা বাংলাদেশে তার পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই নাবালিকাকে মহেশতলার এক ব্যাক্তির নম্বর দেন যুবক। সেই মতো আমিন আলি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই নাবালিকা। পরে নাবালিকাকে বাটানগরের নিয়ে যান ওই যুবক। সেখানে শেখ বাপি ওই নাবালিকাকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেয়। অভিযোগ সেখানেই নাবালিকাকে আটকে রেখে বাপি এবং তার বন্ধু ইমরান তাকে দফায় দফায় গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এদিকে, নাবালিকার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা স্থানীয় থানায় ফোন করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তড়িঘড়ি পুলিশ ওই নাবালিকাকে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষার পর ওই নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাপি ও ইমরানকে গ্রেফতার করে। এর পাশাপাশি আমিনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এর আগেও তারা এই ধরনের অপরাধ করেছে কি না তা জানার জন্য গ্রেফতারকৃতদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আর্জি মেনে গ্রেফতার দুজনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। পাশাপাশি আরও কারা জড়িত রয়েছে পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।