খুলনার তেরখাদা উপজেলার কুশলা গ্রামে ২ মাস বয়সী যমজ শিশু মনি ও মুক্তাকে হত্যা করে তার মা কানিজ ফাতেমা কনা। এরপর লাশ বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে বাচ্চা উধাও হওয়ার নাটক সাজান তিনি।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করেছেন কানিজ ফাতেমা কনা।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে শিশু দুটির বাবা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে কানিজ ফাতেমা কনাকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গতকাল দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক কনাকে শুক্রবার রাতে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
গতকাল শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলার ছাগলাদহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কনার যমজ সন্তান ঘুম থেকে জেগে যায় এবং কান্নাকাটি শুরু করে। তখন দুধ খাইয়ে তাদের ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করেন কনা। কিন্তু তাদের কান্না না থামায় তিনি নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করে লাশ পুকুরে নিয়ে ফেলে দেন।
পুলিশ আরও জানায়, হত্যার পর কনা নাটক সাজান যে, তিনি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার বিছানা থেকে বাচ্চা দুটি উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক কনার বাবা শেখ খায়রুজ্জামান ও মা শরিফা বেগমকে শনিবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কনা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
জানা যায়, দুই কন্যাশিশুকে নিয়ে কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন মা কনা খাতুন। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে দুই শিশুকে দুধ খাওয়ানোর পর ঘুমিয়ে পড়েন বলে দাবি করেন মা। এর ঘণ্টা খানেক পর শিশুদের আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। তার ডাক-চিৎকারে ঘুম ভাঙে বাড়ির অন্যদের। সে সময়ে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন না স্বামী মাসুম বিল্লাহ। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুদের মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। ৪ বছর আগে বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে কনা’র বিয়ে হয়েছিল।
রাজশাহীর সময় /এএইচ