অস্থির মুরগির বাজারে কেজিতে ২৬০ টাকায় ঠেকা ব্রয়লারের দাম এ সপ্তাহে না বাড়লেও সরবরাহ সংকটেপড়া দেশি এবং সোনালির দাম ঊর্ধ্বমুখী। আর পাইকারিতেও দাম বেড়ে গেছে ডিমের। তবে রমজানের আগে বিক্রি কমে যাওয়া মুদিপণ্যের বাজার কিছুটা শীতল।
এদিকে বাজার অভিযানে এসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জানিয়ে গেল, জোগান স্বাভাবিক থাকার পরও দামের কারসাজি করলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
শুক্রবার (১৭ সার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অস্থিরতার বৃত্তে বন্দি মুরগির বাজার; ব্রয়লারের দাম কেজিতে চড়ে আছে ২৬০ টাকায়। এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা জানালেন, সরবরাহ সংকটে পড়েছে দেশি আর সোনালি মুরগি।
ফলে এ সপ্তাহে সোনালির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩২০-৩৮০, আর দেশিতে প্রতি পিস (৮০০-৯০০ গ্রাম) ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দামের চাপে বিক্রি কমেছে বলেও জানান বিক্রেতারা।
ডিমের বাজারেও পাওয়া গেল না দাম কমার খবর। রোজার শুরুতেই আরেক দফা বাড়তে পারে দাম। এতে বিক্রি কমে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে ক্রেতারা ফুঁসছেন বাজার মনিটরিং না থাকায়।
রোজার বাজারে ছোলার দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯৫ টাকা। তবে অন্য পণ্যের দামে গরম ভাব রয়েই গেছে। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫-১২০ টাকা, মসুর ডাল ১৩৫-১৫০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০-৯০ টাকা, অ্যাংকরের বেসন ৭৫-৮৫ টাকা এবং বুটের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।
এদিকে, মাসের মাঝামাঝিতে বিক্রি কমা মুদিপণ্যের দোকানদাররা জানান, বেশ খানিকটা ঠান্ডা চাহিদা, জোগান আর দামে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাছের বাজারে দর কষাকষি থাকলেও দাম বাড়ার বড় অভিযোগ নেই ক্রেতাদের।
আকারভেদে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকায়। দেশি জলাশয়ের মাছের দাম ৮০০-১০০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া ইলিশ ১,৩৫০ থেকে ২,৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়।
এছাড়া বেশির ভাগ সবজির দাম ১০০-২০০ টাকার মধ্যে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শজনে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়, বরবটি ১০০-১২০ টাকা ও কচুরলতি ১০০-১৪০ টাকা, প্রতি কেজি করলা ৭০-৮০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা ও ঝিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
যদিও বাজার অভিযানে এসে ভোক্তাদের আশ্বস্ত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানালেন, চাহিদা মতোই পণ্যের সরবরাহ রয়েছে বাজারে। কোনো অনিয়ম বা অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই নেয়া হবে ব্যবস্থা।