মধ্যপ্রদেশের এক ইঞ্জিনিয়ার ব্যক্তির দুই স্ত্রী মিলে সাজিয়ে নিয়েছেন তাঁদের নিজেদের সংসার। ভাগ করে নিয়েছেন স্বামীর সঙ্গে কাটানোর সময়ও। গোয়ালিয়র জেলার এই ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। শোনা গেছে, পারস্পরিক বোঝাপড়া করেই সপ্তাহে তিনদিন করে সময় ধার্য করা হয়েছে এক একজনের জন্য। এমনকি রবিবারটা যে শুধু স্বামীর নিজের, সেটাও দুই বৌ মিলেই ঠিক করে দিয়েছেন।
প্রথম স্ত্রী, বছর আঠাশের সীমা জানান, ২০১৮ সালে গুরুগ্রামের এই ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দু’বছর ভালোভাবে সংসারও করেন তাঁরা। এমনকি তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু সুখের সংসারের এই ছবি পাল্টে যায় করোনার সময়ে। লকডাউনের সময়ে সীমাকে তাঁর বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। তারপর তিনি অনেকদিন আর স্ত্রীকে ফেরত নিতে যাননি বলেই জানা গেছে।
এমনই সময়েই ওই ব্যক্তি তাঁর অফিসের এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। লকডাউনের সময়ে তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করলে বিয়েও করে বসেন তাঁরা। তাঁদের আবার একটি মেয়েও হয়।
এর পরে এতসব কাণ্ড জানতে পারেন প্রথম স্ত্রী সীমা। তিনি সব শুনে গুরুগ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন পুরো বিষয়টি দেখার জন্য। সব বোঝার পরে স্বামীর সঙ্গে বহু ঝামেলা করে সীমা আবার নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন এবং সিদ্ধান্ত নেন পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন বলে। দাবি করেন, ছেলের পড়াশোনা ও অন্যান্য খরচের জন্য আর্থিক সহায়তা করতে হবে তাঁর স্বামীকে।
এ কথা জানতে পেরেই ওই ব্যক্তি পৌঁছে যান সীমার কাছে। অনেক ঝগড়া-ঝামেলা, বোঝাপড়া এমনকি কাউন্সেলিংয়ের পরে সীমা একরকম বাধ্য হয়েই মেনে নেন নিজের স্বামীর দ্বিতীয় বউকে। শেষে ফ্যামিলি কোর্টে গিয়ে দুজন মিলে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছন, যে স্বামীকে সপ্তাহের প্রথম তিনদিন পাবেন সীমা এবং তাঁর ছেলে। পরের তিনদিন পাবেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তাঁদের মেয়ে। এমনকি যাতে দুই স্ত্রীর সঙ্গেই সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারেন, তাই গুরুগ্রামে দুই বৌকে দু’টি ফ্ল্যাটও কিনে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি।