রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া উত্তরপাড়া এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকেহত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মারপিটের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মারপিট করার অভিযোগে তাদের আটক করে নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ। হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার জাকির হোসেনের বোনজামাই আব্দুল খালেক বাদি হয়ে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় ওই চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাইফুল ইসলাম, তার স্ত্রী লিমা খাতুন, সামছুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সুমনা আক্তার সুমি। সবাই নওগাঁ মান্দার বাসিন্দা হলেও তারা নগরীর তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় ভাড়া থাকতো। জাকির হোসেন ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের (দক্ষিণ) দপ্তর সম্পাদক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন ও আসামীরা তেরখাদিয়া এলাকার মিনু নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বুধবার সন্ধ্যার পর পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামী সাইফুল ইসলাম জাকির হোসেনকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি করেন। এসময় জাকির হোসেন গালাগালির প্রতিবাদ করলে সাইফুল ইসলাম তার হাতে থাকা হাতুড়ি নিয়ে জাকির হোসেনের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সাইফুলের ভাই সামছুল ইসলাম ও তাদের দুই ভাইয়ের স্ত্রীরাও একজোট হয়ে জাকির হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। জাকির হোসেনকে হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমান জাকির হোসেন রামেক হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নগরীর রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক মইদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে হামলাকারী ওই চারজনকে গ্রেফতার করে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন জাকির হোসেনের বোনজামাই আব্দুল খালেক। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামীদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।