কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জেলায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় দুই যুগ পর কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে অতিথি হবেন তিনি। তার এ সফরকে কেন্দ্র করে হাওড়াঞ্চলে উৎসমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন। পরে সেখানে পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর অংশ নেবেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের জনসভায়।
তিনি উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে দুপুরের খাবার খাবেন। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে সেখানে অপেক্ষায় থাকবেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, দীর্ঘ দুই যুগ পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইনে। ১৯৯৮ সালে যখন এসেছিলেন, তখনকার হাওড় আর বর্তমান সরকারের উন্নয়নের পর এখনকার হাওড়ের পার্থক্য সচক্ষে দেখার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এ সফর।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দলীয় সভাপতির এ সফরকে কেন্দ্র করে হাওড়াঞ্চলে উৎসমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য জনসভার আয়োজন করা হয়েছে এবং এ জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দেয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। এ অঞ্চলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও মহাসমাবেশ সফল করতে কাজ করেছেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।
এক সময়ের অবহেলিত এ হাওড়ে এরই মধ্যে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। বদলে গেছে জীবনযাত্রা। বিস্ময়কর অলওয়েদার সড়ক নির্মাণের পর যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। নির্মাণ শুরু হতে যাচ্ছে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়কও।
১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন এ হাওড়াঞ্চলে যান, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণেরও উপযুক্ত জায়গার অভাব ছিল। তখন জেলা শহর থেকে রিকশা আনতে হয়েছিল। তখন তিনি দেশের এ পশ্চাৎপদ হাওড় জনপদের ব্যাপক উন্নয়ন, হাওড় উন্নয়ন বোর্ড পুনর্গঠনসহ নদ-নদী খননের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতি এখন যেন ষোলো আনাই পূর্ণ হয়েছে!