স্কুলে ছাত্রীকে ছেঁড়াফাটা জিন্স পরা দেখে যা করলেন শিক্ষিকা


সুমাইয়া তাবাস্সুম: , আপডেট করা হয়েছে : 19-02-2023

স্কুলে ছাত্রীকে ছেঁড়াফাটা জিন্স পরা দেখে যা করলেন শিক্ষিকা

ছেঁড়া জিন্স পরে স্কুলে গিয়েছিল ছাত্রী। শাস্তি হিসেবে তার জিন্সের ছেঁড়া অংশে ডাক্ট টেপ লাগিয়ে দিলেন শিক্ষিকা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির একটি স্কুলে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি সামনে এসেছে সম্প্রতি। ওই ছাত্রীর মা টিকটকে একাধিক ভিডিও পোস্ট করবে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন স্কুলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, তাঁর মেয়ের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। ডাক্ট টেপে থাকা আঠার কারণে তার মেয়ের ত্বকে অ্যালাৰ্জি দেখা দিয়েছে বলে দাবি করে স্কুলে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন তিনি।

তাঁর পোস্ট করা ভিডিও থেকে জানা গেছে, ওই ছাত্রীকে প্রথমে শিক্ষিকা জিজ্ঞেস করলেন, তার কাছে অতিরিক্ত পোশাক রয়েছে কিনা। উত্তরে ‘না’ শুনেই আর কোনও কথা না বলে লাল রঙের ডাক্ট টেপ এনে ওই ছাত্রীর জিন্সের ছেঁড়া অংশে লাগিয়ে দেন তিনি। এতেই অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়েছেন ওই ছাত্রীর মা। তাঁর দাবি, তাঁর মেয়ের একজিমা নামে এক ধরনের ত্বকের অসুখ রয়েছে। টেপে থাকা আঠার কারণে সেই সমস্যা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, স্কুলে এই কাণ্ড হওয়ার পরেই সেখান থেকেই তাঁকে মেসেজ করে বিষয়টি জানায় তাঁর মেয়ে। জানতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে ছুটে যান তিনি। তাঁর দাবি, পোশাকবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে মনে করলে ওই শিক্ষিকা বিষয়টি আগে তাঁকে জানাতে পারতেন। তা না করে তিন যা করেছেন তা অত্যন্ত অন্যায় বলেই দাবি তাঁর।

‘আমার প্রধান মাথাব্যথা হল, ডাকত টেপে থাকা আঠার কারণে ত্বকের সমস্যা দেখা দিলে কে দায় নেবে? এমনকী, যাদের অ্যালাৰ্জির সমস্যা নেই, তাদের ক্ষেত্রেও ডাক্ট টেপে থাকা রাসায়নিকের কারণে ত্বকে চুলকানি এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে,’ জানিয়েছেন ওই ছাত্রীর মা।

ঘটনাটি জানার পরেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষ হলে সেই রিপোর্ট স্কুল শিক্ষা দফতরেও পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে।

যদিও বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নেটিজেনদের মধ্যে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, পোশাকবিধি না মেনে স্কুলে এলে শিক্ষিকা এরকম পদক্ষেপ নিতেই পারেন, নয়তো বাকি পড়ুয়ারাও এই ধরনের কাজ করার সাহস পেয়ে যাবে।

এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে নেটিজেনদের অন্য একটি অংশ। তাঁরা মনে করছেন, ওই ছাত্রী অন্যায় করে থাকলে বিষয়টি তার অভিভাবককে জানানো যেত। তাকে ক্লাস করতে না দিয়ে বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া যেত। তা না করে নাবালিকা ছাত্রীকে শাস্তি দিতে গিয়ে ওই শিক্ষিকা যা করেছেন, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেই তাঁদের অভিমত।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]