ধারাবাহিকভাবে খুলতে থাকা মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকায় আজ শনিবার যুক্ত হলো উত্তরা সেন্টার স্টেশন। এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় দিয়াবাড়ি থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি উত্তরা সেন্টার অর্থাৎ দুই নম্বর স্টেশনে বিরতি নেয়। এখান থেকে যাত্রীরা মেট্রোরেলে ওঠানামা করতে পারবেন।
উত্তরা সেন্টার স্টেশন নিয়ে মোট চার স্টেশনে মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহন করা হবে। আগামী মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে বাকি স্টেশনগুলো সাধারণ যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোরেলের অফিসে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছিলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।
এই কর্মকর্তা জানান, প্রথমে দুটি স্টেশন খুলে দেয়ার মাধ্যমে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। মানুষ মেট্রোরেল ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আগামী ১ মার্চ থেকে পঞ্চম স্টেশন হিসেবে মিরপুর-১০ স্টেশন খুলে দেয়া হবে। আর অবশিষ্ট ৪টি স্টেশন আগামী ২৬ মার্চের মধ্যেই চালু হবে। অন্য স্টেশনগুলো হলো- উত্তরা সাউথ, মিরপুর-১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া।
প্রসঙ্গত, ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল যেটি এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে। গত ২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেট্রোরেলের দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সর্বমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ও সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।