বর্তমানে বাড়তি এক দুশ্চিন্তার নাম মেদ। কারণ মেদ বাড়লে শুধু সৌন্দর্যই নষ্ট হয় না, দেখা দিতে পারে নানারকম অসুখও। সেইসঙ্গে ওজন তো বাড়েই। আর সুস্থ থাকার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি সেকথা তো সবারই জানা। অনেক সময় নানা কসরত করেও কমে না ওজন। তবে খাবারের বিষয়ে সচেতন হলে মেদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এমনকিছু মশলা আছে যেগুলো আমাদের মেদ কমাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব মশলা সম্পর্কে-
আদা খেলে কী হয়: মেদ দূর করার জন্য খেতে পারেন আদা। এটি আমাদের পাচনতন্ত্রে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাই আদা খেলে মেদ জমার সুযোগ পায় না। আর মেদ না জমলে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত আদার রস খেলে তা শরীরের বাড়তি চর্বি ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
দারুচিনি খাবেন যে কারণে: রান্নার স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে ব্যবহার করা হয় দারুচিনি। শুধু তাই নয়, এটি আমাদের শরীরের জন্যও নানা কাজে লাগে। আপনি যদি প্রতিদিন সামান্য দারুচিনি খেতে পারেন তবে বারে বারে ক্ষুধা লাগার সমস্যা কমবে। পাশাপাশি এটি বাড়তি মেদ ঝরাতেও সমান কার্যকরী।
এলাচের উপকারিতা: এলাচ সুগন্ধের জন্য পরিচিত মশলা। এতে রয়েছে টর্পিন, টপিনিনোল, সিনিওল, এসিটেট, টপিনিল ইত্যাদি উপকারী রাসায়নিক উপাদান। এই উপাদানগুলো শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এলাচ খেলে মেদ ঝরানো সহজ হবে।
হলুদে মিলবে উপকার: নিঃসন্দেহে একটি উপকারী মশলার নাম হলো হলুদ। রূপচর্চা থেকে শুরু করে রান্নাঘর- হলুদ সবক্ষেত্রেই কার্যকরী। ত্বক ভালো রাখার জন্য গরম দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। একে গোল্ডেন মিল্কও বলা হয়। হলুদের একটি বিশেষ গুণ হলো এটি আমাদের শরীরে ফ্যাট টিস্যু তৈরি হতে বাধা দেয়। যে কারণে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
কাঁচা মরিচ কেন খাবেন: ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো কাঁচা মরিচ। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করলে তা আপনাকে নানাভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। কাঁচা মরিচে আছে ক্যাপসিসিন নামক উপাদান যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি আমাদের বিপাকক্রিয়া দ্রুততর করে অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করে