রাজশাহীতে চারঘাটে অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) বিভাগের এক্সরে রুমে যেতে হয় মেয়েটিকে। কিন্তু সেখানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠে মো. আনিছুর রহমান এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হয়েছিল। তাকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে কিশোরীর সঠিক বয়স এবং ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে কি না সেই তথ্য জানার জন্য তাকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রামেক হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক পরীক্ষা শেষে ৯ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
পরিদর্শক মাইদুল আরও বলেন, এর আগে মেয়েটি তার বাবাকে জানায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে তাকে তিন নম্বর এক্সরে কক্ষে ঢোকানো হয়েছিল। সেখানে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনা শোনার পরপরই সোমবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা একটি যৌননিপীড়নের অভিযোগ করেন।
পরিদর্শক মাইদুল বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় মামলা রুজু করে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, রামেকের ওসিসি বিভাগটি মূলত মা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এরপরও ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। আর এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং কোনো রোগীই যেন কোনো প্রকারের হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়েও কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এফ কে